সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) ৪৩তম বিসিএসের আবেদনের সময়সীমা বাড়ানোর কথা ভাবছে । সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাতে গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানিয়েছেন, পিএসসির চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন। এর আগে একইদিন শিক্ষা মন্ত্রী ড. দীপু মনি বিএসএস পরীক্ষার আবেদনের সময় বাড়ানোর ঘোষণা দেন। তবে ৪০, ৪১ ও ৪২তম বিসিএস পরীক্ষা আগের ঘোষণা অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে।

পিএসসির চেয়ারম্যান বলেন, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে ৪৩তম বিসিএসের আবেদনের সময়সীমা দুই মাস বাড়িয়ে ৩১ মার্চ করা হয়েছিল। যে উদ্দেশ্যে এই সময়সীমা বাড়ানো হয়েছিল, সেই একই কারণে এখন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনিসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে যৌক্তিক সময় বাড়ানো যেতে পারে। তবে অন্য তিন বিসিএসের পরীক্ষা যথাসময়েই হবে। এর মধ্যে ৪০তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা চলছে আর ৪১তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হবে ১৯ মার্চ। এ ছাড়া ৪২তম বিসিএসের পরীক্ষা হবে এ মাসের ২৬ ফেব্রুয়ারি। ৪২ বিসিএসে শুধু চিকিৎসক নেওয়া হবে।

সোহরাব হোসাইন বলেন, ৪০তম এবং ৪১তম বিসিএসের কার্যক্রম আগেই শুরু হয়েছিল। আর ৪২তম বিসিএসটি হচ্ছে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসক নিয়োগের জন্য। সুতরাং এই তিনটি পরীক্ষা পেছানোর যৌক্তিকতা নেই।

জানা গেছে, সেশনজটে আটকা পড়া শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এর আগে ৪৩তম বিসিএসের আবেদনের সময় বাড়াতে সরকারি কর্ম কমিশনকে (পিএসসি) চিঠি দিয়েছিল। এরপর আবেদনের সময় বাড়ানো হয়েছিল।

কিন্তু এখন যেহেতু ২৪ মের আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো পরীক্ষা হচ্ছে না, তাই আবারও এই সময় বাড়ানোর বিষয়টি সামনে এসেছে। ৪৩তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা ৬ আগস্ট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।

সোমবার শিক্ষামন্ত্রী ঘোষণা দেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষে ক্লাস শুরু হবে ২৪ মে। তার আগে ১৭ মে আবাসিক হলগুলো খুলবে। তবে হলে ওঠার আগে আবাসিক শিক্ষার্থীদের করোনাভাইরাসের টিকা নিতে হবে। খোলার আগে কোনো পরীক্ষা হবে না। যেসব বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা ও হল খোলার ঘোষণা দিয়েছিল, সেই সিদ্ধান্তও বাতিল হবে।

অবশ্য অনলাইনে ক্লাস চলবে। এ ছাড়া এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে মিল রেখে বিসিএস পরীক্ষার আবেদনের সময় ও পরীক্ষা পেছানো হবে।