নেত্রকোণা প্রতিনিধি: বিভীষিকাময় করোনাভাইরাস নামক অদৃশ্য পরাশক্তির আক্রমণে জীবন ও জীবিকার যুদ্ধে অবতীর্ণ গরিব-মেহনতি মানুষ থেকে শুরু করে প্রায় সকল শ্রেণীর মানুষ । পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন এবং যন্ত্রনাময় সময় পার করছে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষগুলো। যারা জীবিকার তাকিদে কাজের সন্ধানে বের হচ্ছেন তাদের কেউ কেউ পুলিশের দ্বারা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এমন ঘটনাই ঘটছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে নেত্রকোণা জেলার দূর্গাপুর উপজেলার পুলিশের একাংশের বিরুদ্ধে।

ইতোমধ্যে উপার্জনের সক্ষমতা সচল রাখতে সব কিছুতে শিথিলতা ঘোষণা করেছে সরকার। কিন্তু নেত্রকোণা জেলার দূর্গাপুরে পুলিশের একাংশ তাদের উর্ধতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা উপেক্ষা করে কারো এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে দিনরাত নানান ছুতোয় হয়রানি করে ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি করছে। ফলে অসহায় মানুষগুলোর আয়-রোজগার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে ।

যেখানে পুলিশ সদস্যরা সারাদেশে করোনাকালীন মৃত্যুর ভয়কে তুচ্ছ করে ত্যাগ ও মহীমার শ্রেষ্ঠ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, কোটি মানুষের দোয়া এবং নজীরবিহীন প্রশংসা অর্জন করেছে সেখানে কিনা কিছু অসৎ পুলিশের জন্য সমস্ত পুলিশ ডিপার্টমেন্ট কলংকিত হচ্ছে।

দূর্গাপুরবাসী তাদের বর্তমান ডিসি- এসপির ভূয়সী প্রসংসা করে বলেছেন, এই সংকটকালীন সময়ে ডাইনামিক ডিসি – এসপির মহতী মহানুভব কর্মকান্ড ও সততার নজীরে আমরা ধন্য ও চরম কৃতজ্ঞ । নেত্রকোণা জেলার বিজ্ঞজনরা বলেছেন, স্বাধীনতার পর এমন সৎ ও নিষ্ঠাবান ডিসি – এসপি দেখিনি তারা । একের পর এক চমক দেখিয়ে জনস্বার্থে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন তারা ।

কিন্তু দূর্গাপুর পুলিশের একাংশের এমন অমানবিক আচরণে অতিষ্ঠ দূর্গাপুরবাসী।। তাদের এমন কর্মকাণ্ডে শুধু গরিব মানুষ নয় অংশীদারদেরও রোজগার বন্ধ হয়ে যায় । শত শত গরিব দু:খী মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ছে জাতীয় তথা বিশ্বদুর্যোগের এই সময়ে । তাদের জীবন ধারণ করাই প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে । যেকোনো মূহুর্তে চাপা ক্ষোভ বিক্ষোভ হাঙ্গামায় রূপ ধারণ করতে পারে ।
পুলিশের ভাষ্যমতে ওসি মিজানের নির্দেশনায় এসব হচ্ছে ।

তাই দূর্গাপুরবাসী এর থেকে পরিত্রাণ পেতে সরকার তথা পুলিশ প্রধানের হস্তক্ষেপ কামনা করছে। তাদের কর্মকাণ্ডের ভিডিও দূগাপুরবাসীর কাছে রয়েছে। চলবে…