বিশ্বব্যাপী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে কেন্দ্র করে মানুষের জীবন পরিচালিত হচ্ছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের দুইটি দিক রয়েছেঃ

১। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের একটি দিক হলো এর ইতিবাচকতা। এর অনেক ইতিবাচক দিক রয়েছে। কেউ যদি এর ইতিবাচক দিকগুলো কাজে লাগায় তবে তার জীবনে উন্নতি অবশ্যই আসবে। এই গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো কাজে লাগিয়ে ব্যক্তি জীবনে যেমন উন্নতি করা যায় তেমনি পারিবারিক, সামাজিক, চাকরি ও ব্যবসার ক্ষেত্রেও প্রভূত উন্নতি করা যায়।

ইতিবাচক দিকগুলো হলো, অনলাইনে শিক্ষা বাস্তবায়ন, ফেইসবুকের মাধ্যমে বিভিন্ন পণ্য কেনাবেচা করা, চাকরি খোঁজা এবং চাকরি ও ব্যবসা বাণিজ্য করা ইত্যাদি। বর্তমানে মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে অতি অল্প সময়ে কার্যকর যোগাযোগ করতে পারে যা অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাপক ভুমিকা পালন করে।

২। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অন্য দিকটি হলো এর নেতিবাচকতা। কেউ যদি এর নেতিবাচক দিকগুলোর প্রতি আসক্ত হয়ে যায় তবে তার জীবনের মূল্যবান সময় নষ্ট হবে। সে তার ব্যক্তি জীবনের গুরত্বপূর্ণ কাজ রেখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সময় ও অর্থ ব্যয় করবে। নেতিবাচক দিকগুলো মানুষের নৈতিক অবক্ষয় ঘটায়। অনেক ক্ষেত্রে মানসিক, শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি করে পাশাপাশি পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের ক্ষতি সাধান করে। কেউ কেউ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অহেতুক সময় নষ্ট করে নিজের জীবনের মূল্যবান সময় নষ্ট করে। নেতিবাচক দিকগুলোর মধ্যে রয়েছে- অকারণে দিন ও রাতের বেশির ভাগ সময় ফেইসবুক ব্যবহার, অকারণে মানুষকে এসএমএস করা, বেশি বেশি লাইক কমেন্টস করা, সব সময় বিজ্ঞাপন বা মজার মজার ভিডিও দেখা ইত্যাদি।

বর্তমান সময়ে তরুণ প্রজন্মকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের উপকারী দিকগুলো কাজে লাগিয়ে এবং অপকারী দিকগুলো বর্জন করে জীবিকার মাধ্যমে জীবনের উন্নয়ন সাধিত করে সমাজ ও দেশের কল্যাণে কাজ করতে হবে। তবেই আমরা জাতি হিসাবে উন্নত হব এবং আমাদের দেশ হবে আরো উন্নত ও সমৃদ্ধশালী।

লেখক: মোঃ মাহাবুবুর রহমান

পরিচিতি: কবি ও লেখক।