গর্ভবতী অবস্থা প্রতিটি মহিলার জীবনের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ সময়। একজন নারী গর্ভবতী হওয়ার পর থেকে সন্তান প্রসবের পর পর্যন্ত নানা চ্যালেঞ্জের মধ্যে সময় পার করে। আর এই সময়ে একজন গর্ভবতী নারীর শরীরে বিভিন্ন রকম পরিবর্তন আসে। অনেক নারীর শরীরেই হরমোনের পরিবর্তন হয়। এই সময় সকল ভালো-মন্দের বিষয় মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত নেন নারী। সন্তান নিয়েও অগ্রিম পরিকল্পনা থাকে। তবে সন্তান প্রসবের পরও বিভিন্ন পরিবর্তন আসে সদ্য মা হওয়া নারীর শরীরে। যা নিয়ে অনেকেই হতাশায় ভুগেন। আসলে এসব কোনো সমস্যা নয়। এবার তাহলে সেই সব পরিবর্তন বিষয়ে জেনে নেয়া যাক-

স্তনের পরিবর্তন : বিষয়টি প্রায় সকলেরই জানা যে, সন্তান জন্মের পর তাকে স্তন্যপান করানোর জন্য নারীদের স্তনের আকারে পরিবর্তন আসে। এই সময় নারীর শরীরে দুধ উৎপাদন হয়। সন্তানকে স্তন্যপান বন্ধ করানোর পর আবার আকার কমে যায়। অনেকে এই বিষয়ে সমস্যা মনে করে হতাশায় ভুগেন। আসলে সেরকম কিছু নয়।

পায়ের আকার পরিবর্তন : গর্ভাবস্থায় অনেক নারীর পা ফুলে যায়। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে গর্ভাবস্থায় কোনো কোনো নারীর ওজন গড় ওজনের থেকে ২০-২৫ কেজি পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। আর এই ভার পড়ে তার পায়ের ওপর। যে কারণে পায়ের আকার বেড়ে যায়। এছাড়াও শরীরে হরমোনের পরিবর্তনের জন্যও হয়ে থাকে।

পেটের আকার : অনেকের ধারণা সন্তান জন্মের পর পেট আবার সেই আগের মতো হবে। আসলে তা ভুল ধারণা। গর্ভাবস্থায় নারীদের পেট স্ফীত হয় তাই সন্তান জন্মের পর আগের মতো হতে দেড় মাস থেকে দুই মাস পর্যন্ত সময় লাগে। এক্ষেত্রে ব্যায়াম করা যেতে পারে।

চুল পড়া : গর্ভাবস্থায় ইস্টোজেন হরমোনের প্রভাবে চুল খুব বেশি না পড়লেও প্রসবের পর এই হরমোনের মাত্রা কমে যাওয়ায় নারীদের মাথার চুল পড়তে থাকে।

যৌন ইচ্ছা কমে যাওয়া : গর্ভবতী হওয়ার পর যৌন ইচ্ছা ধীরে ধীরে কমতে থাকে নারীদের। এছাড়া সন্তান জন্মের পর ফের যৌন আকাঙ্ক্ষা ফিরতে প্রায় এক বছর পর্যন্ত সময় লাগে। কারণ গর্ভাবস্থায় নারীদের শরীরে ইস্টোজেনের মাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং প্রসবের পর আবার দ্রুত হ্রাস পায়। ফলে যৌন আকাঙ্ক্ষা কমতে থাকে। তবে কিছুদিন পর আবার স্বাভাবিক হয়ে যায়।

সূত্র : ইন্ডিয়া টাইমস