গরম পড়তে শুরু করেছে। তরমুজ ফল প্রায়ই খাওয়া হবে এখন। তরমুজ রসালো ফল হওয়ায় স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। তরমুজ কাটার সময় এর খোসা ফেলে দেয়া হয়। এই খোসাও যে স্বাস্থ্য উপকারী তা কি আমরা জানি? সাধারণত একটি তরমুজের মোট অংশের প্রায় অর্ধেকই ফেলনা বা খোসাজাতীয়। মানুষ তরমুজের লাল অংশ খাওয়ার পর বাকি অংশ ফেলে দেয়। এতে তরমুজের অপচয়ই হয় না, সঙ্গে স্বাস্থ্য উপকারী অনেক পুষ্টি গুণাগুণও ফেলে দেয়া হয়। এবার তাহলে পাঠকদের জন্য তরমুজের খোসার স্বাস্থ্য উপকারিতা তুলে ধরা হলো-

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি : তরমুজের খোসায় সিট্রুলিন নামক উপাদান রয়েছে। এটি ফ্রি রেডিকেল দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এটি অ্যামিনো এসিডে পরিবর্তিত হয়ে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এছাড়াও হার্টের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কাজ করে শরীরে বিদ্যমান পদার্থ দূর করতেও সহায়তা করে।

ওজন নিয়ন্ত্রণ : নিয়মিত সিট্রুলিন সমৃদ্ধ খাবার খেলে অনাকাঙ্ক্ষিত ওজন কমানো সহজ উপায়। তরমুজের খোসা খাওয়ার সময় বাইরের একদম সবুজ অংশ খাবেন না। এতে করে পেটের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে তরমুজের লাল অংশের পর অবশিষ্ট থাকা সাদা অংশ জুস করেও খাওয়া যেতে পারে।

রক্তচাপ হ্রাস : চিকিৎসক যদি আপনাকে বিপি কমানোর নির্দেশ দিয়ে থাকেন তাহলে নিয়মিত তরমুজ খাওয়ার চেষ্টা করুন। আরও ভালো হয় যদি সঙ্গে খোসা খান। বেশ কিছু গবেষণার প্রতিবেদন বলছে তরমুজ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। তাজা খোসা খেতে না পারলে নিয়মিত ডায়েটে সিট্রুলিনের পরিপূরক সংযুক্ত করুন।

খাওয়ার প্রক্রিয়া : সবজি হিসেবে তরকারি রান্নায় ব্যবহার, সালাদ হিসেবে কিংবা জুস হিসেবেও খাওয়া যেতে পারে তরমুজের খোসা। তরমুজের খোসা ছোট ছোট টুকরো করে ডাল-টমেটোর সঙ্গেও রান্না করতে পারেন। এছাড়াও তরমুজের খোসা দিয়ে সুস্বাদু আঁচার ও হালুয়া তৈরি করা যায়।

সূত্র : ইন্ডিয়া টাইমস