পর্তুগালের রাজধানী লিসবনের এস্তাদিও জোসে আলভালাদেতে বুধবার রাতে মুখোমুখি হয়েছিল পর্তুগাল ও স্পেন। তবে দু’দলেরই মাঠ ছাড়তে হয়েছে, ড্র করে।

জয়ের সব রকম সুযোগই পেয়েছিল দুই দল। তবে সহজ গোল হাতছাড়া করে শেষ পর্যন্ত ড্রতেই ইতি টানে ম্যাচের। তবে ম্যাচ জুড়ে দু’দলই খেলেছিল আক্রমনাত্নক ফুটবল। এদিক থেকে এগিয়ে ছিল সফরকারীরা।
স্পেন আক্রমণাত্মক খেললেও গোল করার সুযোগগুলো পায় ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোরা।

প্রথমে রোনালদো, পরে রেনাতো সানচেস আর শেষ মুহূর্তে ফাঁকা গোল পোস্ট পেয়েও জালে বল ঢুকাতে ব্যর্থ হন বদলি খেলোয়াড় জোয়াও ফেলিক্স।

প্রথমার্ধেই স্প্যানিশরা এতটাই আক্রমণাত্মক খেলে যে, পর্তুগালের গোলপোস্টে দশটি শট নেয় ফার্নান্দো সান্তোসের শিষ্যরা। গোল হলে ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারতো স্পেন।

ম্যাচের ১৭ মিনিটে রদ্রিগো আর ১৯ মিনিটের সময় জেরার্দের শট রুখে দেন প্যাত্রিসিও। এরপর ম্যাচের ২৫ মিনিটের মাথায় দূর থেকে নেওয়া শট ক্রসবারের অনেক উপর দিয়ে চলে যায়। ৪৩তম মিনিটে স্পেনের ডি-বক্সের ভেতরে থেকেও শট লক্ষ্যে পরিণত করতে পারেননি রাফায়েল গেরেরো।

দ্বিতীয়ার্ধের ৮ মিনিটের মাথায় গোল করার সহজ সুযোগ পেয়েও সেটি হাতছাড়া করেন রোনালদো। তার বাঁ পায়ের শট বাধা পায় ক্রসবারে। ম্যাচের ৬৭ মিনিটের সময়ও সেই ক্রসবার বাধা।

দ্বিতীয়ার্ধও গোল শূন্য থাকলে অতিরিক্ত সময়ের তৃতীয় ও শেষ মিনিটেও গোলের সুযোগ পায় পর্তুগীজরা। শেষ পর্যন্ত গোল না হওয়ায় ম্যাচ শেষ হয় গোল শূন্য ড্রতে।

আগামী রোববার পর্তুগাল মুখোমুখি হবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের। একই দিনে সুইজারল্যান্ডের মুখোমুখি হবে স্পেন।