স্পোর্টস ডেস্ক: আয়ের শীর্ষে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো নাকি লিওনেল মেসি? এ প্রশ্ন নিয়ে বিতর্ক হতেই পারে। কিন্তু বাস্তবে রোনালদো কিংবা মেসির কেউ-ই ইতিহাসের সবচেয়ে ধনী ক্রীড়াবিদ নন। তাহলে কে? এমন প্রশ্নটি সব সময়ই উঠেছে।

ইতিহাসে সবচেয়ে ধনী ক্রীড়াবিদকে? কিংবা খেলাধুলা থেকে সবচেয়ে বেশি আয় করেছেন কে? সর্বশেষ এর উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছে ‘স্পোর্টিকো’। খেলাধুলার আর্থিক বিষয়াদি ও বাণিজ্য বিশেষজ্ঞ এই প্রতিষ্ঠান খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক, পৃষ্ঠপোষকতা এবং বিভিন্ন ব্যবসায়িক চুক্তির ভিত্তিতে সর্বকালের সবচেয়ে বেশি আয় করা ৫০ জনের তালিকা প্রকাশ করেছে।

বড় মাপের খেলোয়াড়েরা শুধুই তারকা নন, একেকজন টাকার কুমিরও। আলিশান বাড়ি, বিলাসবহুল গাড়ি আর অঢেল সম্পদ—এই তো তারকা খেলোয়াড়দের জীবন।

এখানে সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন বাস্কেটবল কিংবদন্তি মাইকেল জর্ডান। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক এই বাস্কেটবল খেলোয়াড় এখন পর্যন্ত আনুমানিক ২৭০ কোটি মার্কিন ডলার আয় করেছেন। মুদ্রাস্ফীতি সমন্বয় করলে এর পরিমাণ দাঁড়ায় ৩৭৫ কোটি ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় অর্থের পরিমাণটা প্রায় ৪১ হাজার ২০০ কোটি টাকা।

১৯৮৪ সালে বিশ্বের শীর্ষ ক্রীড়া সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান নাইকির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন জর্ডান। এরপর তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। নাইকির ‘এয়ার জর্ডান’ স্নিকার্স বিক্রি থেকে কারিকারি অর্থ উপার্জন করেছেন জর্ডান। এ ছাড়া আরও অনেক প্রতিষ্ঠানের দূতিয়ালি তো করছেনই। তাই ২০০৩ সালে খেলোয়াড়ি জীবনকে বিদায় বললেও আয়ে এখনো জর্ডানকে কেউ পেছনে ফেলতে পারেননি। গত বছর বাস্কেটবল ফ্র্যাঞ্চাইজি শার্লট হরনেটসের শেয়ার বিক্রি করে দেওয়ার পর জর্ডানের অর্থের পরিমাণ আরও বেড়েছে।

জর্ডানের পর দ্বিতীয় স্থানে আছেন তার স্বদেশি টাইগার উডস। সর্বকালের অন্যতম সেরা এই গলফারের আয় ২৬৬ কোটি ডলার (প্রায় ২৯ হাজার ২২০ কোটি টাকা)। ১৯২ কোটি ডলার বা ২১ হাজার ৯২ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নিয়ে তিনে আছেন রোনালদো। ১৬৭ কোটি ডলার (প্রায় ১৮ হাজার ৩৪৫ কোটি টাকা) আয় করে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক গলফার জ্যাক নিকলাসের সঙ্গে যৌথভাবে ছয় নম্বরে রয়েছেন মেসি। আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক এখন যে ক্লাবে খেলছেন, মানে ইন্টার মায়ামির অন্যতম মালিক ডেভিড বেকহাম আছেন আটে। শীর্ষ দশের শেষ দুজন টেনিস কিংবদন্তি রজার ফেদেরার ও বক্সার ফ্লয়েড মেওয়েদার।