ক্রীড়া প্রতিবেদক: সন্তান জন্ম হয়েছে। খুশির খবর। কিন্তু সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার মৌতলার ইউনিয়নের লক্ষীনাথপুর গ্রামে রাজিয়া খাতুনের বাসায় যে কান্নার রোল। স্বজন হারানোর কষ্ট। রাতে পুত্রসন্তান জন্ম দিয়েই ভোরবেলা মারা গেলেন ফুটবলার রাজিয়া খাতুন। স্বজনরা জানিয়েছেন, প্রসবকালীন জটিলতায় মারা গেছেন রাজিয়া খাতুন।

বাংলাদেশের নারী ফুটবলের উত্থানের শুরুর দিকের ফুটবলার রাজিয়া খাতুন। বয়সভিত্তিক জাতীয় দলে নিয়মিত মুখই ছিলেন তিনি। নারী ফুটবলের সেই পরিচিত মুখ রাজিয়া অকালেই মারা গেলেন।

২০০১ সালের ২৫ জানুয়ারি জন্ম তার। বয়সভিত্তিক পর্যায়ে বাংলাদেশ দলে খেলেছেন ১৩ বছর বয়সেই। এএফসি অনূর্ধ্ব ১৪ পর্যায়ে আঞ্চলিক চ্যাম্পিয়নশিপে ২০১৩ ও ১৫ সালের চ্যাম্পিয়ন দলেও ছিলেন রাজিয়া। ২০১৮ সালে অনূর্ধ্ব ১৮ নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের চ্যাম্পিয়ন দলেও ছিলেন তিনি।

পারফরম্যান্সে অবনতির কারণে চার বছর আগে দল থেকে বাদ পড়েছিলেন। এরপরও অবশ্য নারী ফুটবল লিগে খেলেছেন কিছু দিন। শেষ দুই লিগে তিনি খেলেছেন এফসি ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কাচারিপাড়া এফসির হয়ে।

বিয়ে করেছিলেন বছরখানেক আগে। বুধবার (১৩ মার্চ) রাতে সন্তান প্রসব করেন তিনি। সে সন্তান প্রসবের পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয় তার। সেটাই শেষমেশ প্রাণঘাতী হয়ে গেল তার জন্য। তার স্বজনরা সতীর্থ ফুটবলার ও ফুটবলসংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বয়সভিত্তিক দলে যখন ছিলেন রাজিয়া, তখন তিনি শিষ্য ছিলেন কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটনের। রাজিয়ার মৃত্যুতে শোকাহত তিনি। সাবেক সতীর্থের এমন আকস্মিক মৃত্যুতে হতবাক জাতীয় দলের ফুটবলার সানজিদা আক্তার। তিনি ফেসবুকে জানান, ‘শান্তিতে বিশ্রাম নাও। রাজিয়া, তোমার শূন্যতাবোধ পোড়াবে আমাদের।’