বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার হিড়িক টলিউডে। চারদিকে গুঞ্জন, যশ দাশগুপ্ত, হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের পর অঙ্কুশ হাজরাও নাম লেখাতে চলেছেন গেরুয়া শিবিরে। বিজেপির উচ্চস্তরের নেতৃত্বরা নাকি যাতায়াত শুরু করেছেন অঙ্কুশের বাড়িতে। এ বিষয়ে অভিনেতাকে প্রশ্ন করলে প্রথমে মৃদু হাসেন তিনি। তারপর বলেন,“আমার বাড়িতে কোনও দলেরই উচ্চ-নিম্ন স্তরের নেতৃত্ব আসছে না। এগুলো সম্পূর্ণ বাজে খবর।” আনন্দবাজার।

অঙ্কুশের কথায়, রাজনীতি নিয়ে তাঁর বিশেষ কোনও জ্ঞান নেই। তবে প্রত্যেকবার ভোট দেন শুধুমাত্র নিজের কর্তব্য পালনের তাগিদে। শ্যুটিং ফ্লোরের ‘লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশনে’র বাইরে তাই রাজনীতির ময়দানে নিজেকে দেখতে পান না অভিনেতা। কিন্তু সেটাই যদি হয়ে তবে তৃণমূলের হয়ে প্রচারকে কি বলবেন তিনি? অভিনেতার উত্তর, “আমার কাছে রাজনৈতিক দলের থেকেও মানুষ বড়। দিদি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) যে ভাবে আমাদের সম্মান করেছেন, শিল্পীদের কথা ভেবেছেন , তাঁর জন্য আমি বিভিন্ন মঞ্চে গিয়েছি। মিমি আমার ভাল বন্ধু। সহকর্মী। ওর জন্য প্রচারও করেছি।”

রাজনৈতিক প্রচারে রয়েছেন, রাজনীতিতে নেই। কারণ অভিনেতা মনে করেন, কাজ করতে হলে আলাদা করে ক্ষমতার প্রয়োজন হয় না। অঙ্কুশ বলেন, “করোনা, আমপানে নিজের সাধ্যমতো বহু মানুষকেই সাহায্য করেছি। রাজনীতিতে যোগ না দিয়ে কাজ করার সব চেয়ে বড় সুবিধা হল, নিজের মতো করে কাজ করার স্বাধীনতা থাকে। কোনও অনুমতির জন্য অপেক্ষা করতে হয় না।” তবে যে অভিনেতারা মানুষের সেবা করার জন্য রাজনীতিকে বেছে নিয়েছেন, তাঁদের উৎসাহ দিতে পিছপা হননি অভিনেতা। যশ বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর তাঁকে মেসেজ পাঠিয়ে শুভেচ্ছাও জানিয়েছিলেন অঙ্কুশ।

অভিনেতা জানালেন, বন্ধু মিমির মতো যশকেও রাজনীতির ময়দানে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসবেন তিনি। অঙ্কুশের কথায়, “আজ যদি যশ কোনও সাহায্যের জন্য আমাকে ডাকে, আমি কী যাব না? ও তো আমার ইন্ডস্ট্রির বন্ধু। চেষ্টা করব ওকে সাহায্য করার। সেটাই তো করা উচিৎ।”

বর্তমানে রাজনৈতিক টানাপড়েনে বিভক্ত টলিউড দেখে নিরাশ অঙ্কুশ। অভিনেতা চান, সকলে মিলে টলিউডের উন্নতির জন্য কাজ করা হোক। তবে এই মুহূর্তে রাজনৈতিক রং থেকে নিজেকে দূরে রাখছেন অঙ্কুশ। আপাতত ‘ম্যাজিক’-এর সাফল্যে খুশি অভিনেতা। ভাবছেন পরবর্তী ছবির কথা।