বেশ কয়েকমাস হচ্ছে নিজেদের সুরক্ষায় সবাই ঘরেই রয়েছেন। এই সময় ব্যাহত হয়েছে আগেকার মতো নিয়মমাফিক কাজ। বাইরে তেমন যেতে পারছেন না কেউ। এতে শরীর ও মন দুটোর উপরই বেশ প্রভাব পড়ছে। মাঝে মাঝেই মন খারাপ থাকছে। মেজাজ খিটখিটে হয়ে গেছে অনেকের। শরীরে ওজন বেড়ে যাওয়া থেকে অসুস্থ হওয়া লেগেই আছে।

এসব কিছু থেকে মুক্তি পেতে করতে পারেন নিয়মিত যোগাসন। এতে আপনার শরীর যেমন ফিট থাকবে তেমনি মনও থাকবে ফুরফুরে। যোগাসন শরীর ও মন ভালো করতে খুবই কার্যকরী এক উপায়। চিকিৎসাশাস্ত্র বলছে যোগাসনে দূর হয় অনেক কঠিন কঠিন সব রোগ ব্যাধিও। তবে চলুন জেনে নিন শরীর ও মন একসঙ্গে ভালো করতে কোন আসনগুলো করবেন-

দ্য পাপ্পি ডগ স্ট্রেচ

এই আসনটি করতে প্রথমে হাঁটু ভাজ করে মেঝেতে বসুন। এরপর দুই হাত সোজাসুজি দুই কানের পাশ দিয়ে উপরে তুলুন। এবার ঘাড় মাথা পিঠ সোজাসুজি রেখে ধীরে ধীরে সামনের দিকে ঝুঁকে পড়ুন। হিপ ও হাঁটু একদম সোজা থাকবে। কোমর কোনো মতেই পিছনের দিকে হেলবে না। শ্বাসপ্রশ্বাস থাকবে স্বাভাবিক।

উপবিস্ট কনাসন

এই আসনটি করা খুব একটা সহজ নয়। তবে কয়েকবার করলেই আপনার কাছে সহজ হয়ে যাবে। প্রথমে মেঝেতে বসুন। এরপর ডান পা, ডান হাত বড়াবড় প্রসারিত করতে হবে। বাম পা, বা হাত বড়াবড় প্রসারিত করতে হবে। এক দু দিনে সম্পূর্ণ প্রসারণ সম্ভব নয়। যারা নাচ শেখেন তাদের ক্ষেত্রে এটি করা সহজ। দুই পা প্রসারণের পর শরীরের উপরের অংশকে সামনের দিকে কিছুটা ঝুকিয়ে আনতে হবে। হাত দুটোকে প্রণামের ভঙ্গিতে কনুই সমেত মেঝেতে ঠেকাতে হবে। শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখুন।

সুখাসন

সকালবেলা এই যোগা করা খুব আদর্শ। ঘাড় মাথা পিঠ সোজা রেখে বসতে হবে। পা সামনের দিকে ক্রস করে ভাজ করে বসতে হবে। দুই হাত, দুই পায়ের হাঁটুর উপর টানটান করে রাখতে হবে। মেডিটেশন করার মতো। এভাবেই কিছুক্ষণ থাকতে হবে। এই যোগা করলে মন শান্ত হয়। একাগ্রচিত্ত হয়।

দ্য কামেল পোজ

এই আসনটি অনেকটা উটের মতো। প্রথমে হাঁটু ভাজ করে সোজাসুজি বসতে হবে। এরপর হাঁটুর উপর ভর রেখে শরীরের উপরের অংশ সোজা করে রাখতে হবে। ঠিক এরপর পিঠ ঘাড় মাথা পিছনের দিকে হেলাতে হবে। হাত পিছন দিক থেকে নিয়ে গোড়ালি স্পর্শ করতে হবে। এই অবস্থায় থাকুন কিছুক্ষণ। শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখুন।

দ্য আপয়ার্ড ফেসিং প্যাঙ্ক

প্রথমে মেঝেতে শুয়ে পরুন চিত হয়ে। এরপর দুই হাত মেঝেতে ভর করে সম্পূর্ণ শরীরকে যতটা সম্ভব উপরে তুলুন। পা আর হাতের উপর সমস্ত ভর দিয়েই শরীরকে ব্যালেন্স করে ধরে রাখতে হবে। এসময় শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করুন।