ফরিদপুরে নতুন করে আরও ১০৮ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১ হাজার ৫৭৬ জনে। ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের করোনা শনাক্তকরণ ল্যাব সূত্রে এ খবর জানা গেছে।

ফরিদপুরে নতুন শনাক্তের মধ্যে চিকিৎসক তিন জন, স্বাস্থ্যকর্মী দুইজন, পুলিশ সদস্য ছয় জন ও আদালতের পাঁচজন রয়েছেন। এছাড়া রয়েছেন পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের একজন কর্মকর্তাও।

ফরিদপুরে নতুন করে যে ১০৮ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে তাদের মধ্যে ফরিদপুর সদরে ৭৮ জন, সদরপুরে ১১ জন, বোয়ালমারীতে ৯ জন, মধুখালীতে ৩ জন এবং চরভদ্রাসন ও আলফাডাঙ্গায় ২ জন করে। এর মধ্যে নারী ২৫ জন এবং পুরুষ ৮৩ জন।

ফরিদপুরে মোট শনাক্ত ১ হাজার ৫৭৬ জনের মধ্যে ফরিদপুর সদরে ৬১১ জন, ভাঙ্গায় ২৮৭ জন, বোয়ালমারীতে ২২৮ জন, সদরপুরে ১১৩ জন, নগরকান্দায় ৯৬ জন, চরভদ্রাসনে ৮১ জন, সালথায় ৫৮ জন, আলফাডাঙ্গায় ৫৫ জন এবং মধুখালীতে ৪৭ জন রয়েছেন।

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থাপিত করোনা শনাক্তকরণ ল্যাবে গত বৃহস্পতিবার ৫৬৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৪০ জনের করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ফরিদপুরে তিনটি ফলোআপসহ ১১১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। নতুন শনাক্ত হয়েছে ১০৮ জনের। এছাড়া গোপালগঞ্জে ২৫, মাদারীপুরে ৩ এবং সাতক্ষীরার ১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলীমুজ্জামান বলেন, নতুন শনাক্ত হওয়া রোগীদের সঙ্গে পুলিশের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা হয়েছে। ওষুধ ও খাদ্য সামগ্রীর প্রয়োজন হলে জানা মাত্রই আক্রান্তের বাড়িতে পৌঁছে দিচ্ছে পুলিশ।

ফরিদপুরের সিভিল সার্জন মো. ছিদ্দীকুর রহমান বলেন, ফরিদপুরে নতুন করে তিন জন চিকিৎসক, ছয়জন পুলিশ সদস্য এবং বিচার বিভাগের পাঁচ জন সদস্যের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

তিনি বলেন, সব রোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে স্বাস্থ্য কর্মীরা। কারও সঙ্গে যদি যোগাযোগ করা সম্ভব না হয় তাহলে সেটা সঠিক ঠিকানা না থাকা কিংবা মোবাইল নম্বর ভুল থাকার কারণে হচ্ছে।