আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে বিএনপিই কৃত্রিম বাধা তৈরি করছে। বিএনপির একদিকে নির্বাচন বিমুখ রাজনীতি, অপরদিকে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র অব্যাহত রাখায় দেশের গণতন্ত্র বারবার হোঁচট খাচ্ছে।

আজ শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে তার সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মীমাংসিত বিষয়ে প্রশ্নবিদ্ধ করার অধিকার কারো নেই।

ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রকৃতপক্ষে দীর্ঘদিন ধরে তাদের নেতৃত্বে স্বাধীনতার চেতনা বিরোধী অপশক্তি যেভাবে ইতিহাস বিকৃতি ঘটিয়েছে, তার বিপরীতে নতুন প্রজন্ম এখন সত্যিকারের ইতিহাস জানতে পারছে।

তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, কারা মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ককে সপরিবারে হত্যার বেনিফিশিয়ারী, কারা এদেশে খুনিদের বিচার চাওয়ার অধিকার হরণ করেছিলো- তা নতুন প্রজন্ম জানতে পারছে বলে বিএনপির গাত্রদাহ শুরু হয়েছে।

বিএনপিই এদেশে স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতির জনক বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।

বিএনপি মুখোশের আড়ালে স্বাধীনতা বিরোধী উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর এজেন্ডা বাস্তবায়নের পৃষ্ঠপোষক বলেও জানান তিনি।

আগামীকাল সারাদেশে চতুর্থ ধাপের ৫৫টি পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, এই বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনা সরকার জনগণের মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী এবং গণতান্ত্রিক মূলবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।

আগের তিন ধাপের নির্বাচনের ধারাবাহিকতায় আগামীকালের নির্বাচনও সুষ্ঠু, অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে বলে আশাবাদী ওবায়দুল কাদের।

তিনি জানান, সরকার পৌরসভা নির্বাচনে ভোটারদের অবাধ ভোটাধিকার প্রয়োগে কোন রূপ হস্তক্ষেপ করবে না।

কোনও প্রকার হানাহানি ছাড়া শান্তিপূর্ণ ভাবে ৫৫টি পৌরসভার ভোটগ্রহণ সম্পূর্ণ হবে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একটি অংশগ্রহণমূলক শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে কমিশন স্বাধীন ও কর্তৃত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে বরাবরের মত আগামীকালও সক্রিয় থাকবে বলে মনে করেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন কমিশনের চাহিদা অনুযায়ী সরকার তাদেরকে সকল ধরনের সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে বলেও জানান।

ঠাকুরগাঁওয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগমের একটি বক্তব্য পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়া বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, তার সাথে এ নিয়ে প্রকৃত তথ্য জানতে কথা হয়। তার বক্তব্যের অডিও এবং ভিডিও পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হচ্ছে। কোন অরাজনৈতিক বক্তব্য যদি সত্যি প্রমাণিত হয় তাহলে আওয়ামী লীগ তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।