আজ ফিলিস্তিনি শিশু দিবস। এই দিনে গাজা এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরে শিশুদের জীবন কেমন চলছে বা তারা কি অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে তার একটি খন্ডচিত্র তুলে ধরেছে কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা।

জাতিসংঘ ও অন্যান্য সংস্থাগুলোর জরিপ অনুসারে, ইউনিসেফ বলছে, গাজার ১০টি স্কুলের মধ্যে ইতোমধ্যে আটটি ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে। জাতিসংঘ বলছে, ৬ লাখ ২৫ হাজার শিশু শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ফিলিস্তিন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (পিআরসিএস) বলছে, গাজার এক হাজার শিশু তাদের এক বা উভয় পা হারিয়েছে।

জাতিসংঘ বলছে, গাজায় ৫০ হাজারের বেশি শিশু তীব্রভাবে অপুষ্টিতে ভুগছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম বলছে, উত্তর গাজার দুই বছরের কম বয়সী ৩০ শতাংশ শিশু তীব্রভাবে অপুষ্টিতে ভুগছে।

ফিলিস্তিন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (পিআরসিএস) বলছে, অনাহার ও পানিশুন্যতায় ইতিমধ্যে ৩১টি শিশু মারা গেছে।ফিলিস্তিনি বন্দি অধিকার গ্রুপ অ্যাডামির বলছে, ইসরায়েলের কারাগারে ২০০ টিরও বেশি ফিলিস্তিনি শিশু বন্দী রয়েছে।

এদিকে টানা ছয় মাস ধরে চলা ইসরায়েলের হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৩ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই ২৪ হাজারের বেশি। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস বুধবার জানায়, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকায় ২ হাজার ৯২২টি গণহত্যা চালিয়েছে। আর এর জেরে গাজায় মোট ১৪ হাজার ৫০০ শিশু এবং ৯ হাজার ৫৬০ জন নারী নিহত হয়েছেন। এছাড়া আরও ৭ হাজার মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে আছেন বা নিখোঁজ রয়েছেন।

মিডিয়া অফিস আরও বলেছে, গাজায় ইসরায়েলি হামলার মুখোমুখি হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৭৩ শতাংশই নারী ও শিশু। এছাড়া গাজায় ১৭ হাজার শিশু তাদের পিতামাতা বা উভয়ের যেকোনও একজন ছাড়াই বসবাস করছে।

গাজার অনাহারের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে মিডিয়া অফিস বলেছে, অপুষ্টি ও পানিশূন্যতার কারণে গাজায় এখন পর্যন্ত ৩০ জন শিশু প্রাণ হারিয়েছে। এতে আরও বলা হয়, ৪৮৪ জন স্বাস্থ্যসেবা কর্মী, ১৪০ জন সাংবাদিক এবং ৬৫ জন সিভিল ডিফেন্স কর্মীও ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন।