একটি পরিত্যক্ত টয়লেট থেকে ছয় বছরের কন্যা শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার হরিনারায়ণপুর কাচারি মাঠের পাশে থাকা সেই টয়লেট থেকে শিশুর মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

তাকে শ্বাসসরোধ করে হত্যার দায়ে নিহতের ফুপু অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী সুমাইয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নিহত শিশুর নাম সানজিদা খাতুন। সে একই এলাকার সোহাগ হোসেনের মেয়ে। গতকাল রোববার দুপুরে নিখোঁজ হওয়ার পর এলাকাই মাইকিং করা হয়। পরে সন্ধ্যার পর তার মরদেহ পাওয়া যায় একটি পরিত্যক্ত টয়লেটের মেঝেতে।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্র জানায়, সানজিদা দুপুরে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে না আসায় বিকেলে হরিনারায়ণপুর বাজারে মাইকিং করে বাবা সোহাগ হোসেন। এরপরও তার সন্ধান না পাওয়ায় খোঁজ চলতে থাকে। সন্ধ্যার পর এলাকার কয়েক বাসিন্দা কাচারি মাঠের পাশে একটি পরিত্যক্ত টয়লেটে একটি শিশুর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে। পরে সানজিদার পরিবারের লোকজন এসে তার মরদেহ শনাক্ত করে। সানজিদার মরদেহটি শোয়ানো অবস্থায় মেঝেতে ছিল। তার হাত-পা মোড়ানো অবস্থায় পাওয়া গেছে। মাথায় ও শরীরে আঘাতের চিহৃ রয়েছে।

এদিকে খবর পেয়ে ঘটনা ঘটনাস্থলে আসে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানা পুলিশ। তারা শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আতিকুর রহমান আতিক বলেন, গেল গভীর রাতে গ্রেপ্তারকৃত সুমাইয়া জানায়, তার প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে সানজিদার মা বাধা দিত। এই বিরোধের কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে সুমাইয়া সানজিদাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। আজ সোমবার সকালে সুমাইয়াকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।