সরকারি প্রণোদনায় সাতক্ষীরার কলারোয়ার ছলিমপুরের সূর্যমুখী ফুল চাষ শুরু করেছেন কয়েককজন কৃষক। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভালো ফলন পাওয়ার আশায় স্থানীয় কৃষকরা। একই সঙ্গে প্রাকৃতিক এই সৌন্দর্য্য দেখতে প্রতিদিনই ভিড় করছেন দর্শনার্থীরা।

উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, চলতি বছর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নতুন করে কম বেশি সূর্যমুখীর চাষ করা হয়েছে। এ বছর পরীক্ষামূলকভাবে কয়েক বিঘা জমিতে হাইসান-৩৩ জাতের সূর্যমুখী ফুলের চাষ করা হচ্ছে। কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের বিনামূল্যে বীজ-সার দেয়া হয়েছে।

এ ছাড়া সূর্যমুখী চাষের ৯০-১০৫ দিনের মধ্যে বীজ ঘরে তোলা যায়। প্রতি বিঘা জমিতে সূর্যমুখী ফুলের বীজ পাওয়া যায় ৬ থেকে সাড়ে ৬ মণ। যার বাজার মূল্য সর্বোচ্চ ১৭ হাজার টাকা। কৃষকদের স্বাবলম্বী করতেই সূর্যমুখী ফুল চাষে উৎসাহিত করা হচ্ছে। এরই মধ্যে সূর্যমুখী গাছে ফুল ধরতে শুরু করেছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে সৌন্দর্য পিপাসু লোকজন দল বেঁধে আসেন সূর্যমুখী বাগান দেখতে। চারদিকে শুধু হলুদের সমরাহ, হলুদ রঙের ফুলের অপরূপ দৃশ্য। ফুলে ফুলে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত মৌমাছি।

ছলিমপুরের কৃষক ওহাব আলী জানান, আগে তিনি তার জমিতে বিভিন্ন ধরনের সবজির চাষ করতেন। এ বছর কৃষি অফিসারের পরামর্শে প্রথমবারের মতো সূর্যমুখীর চাষ করছেন এবং লাভবান হওয়ার আশা করছেন তিনি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শুভ্রাংশু শিখর দাস জানান, প্রথমবারের মতো এ বছর সরকারের অর্থায়নে পৌর এলাকাসহ উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে সূর্যমুখী চাষ হয়েছে। সূর্যমুখী বীজের তেল সরিষার তেলের চেয়ে অনেক ভালো এবং হার্টের জন্য খুব উপকারী।