ঢাকা: গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সর্বোচ্চ ৪ হাজার ১৪ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৪১ হাজার ৮০১ জনে দাঁড়ালো। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১ হাজার ৭৮৩ জনে।

এর আগে রোববার (২৮জুন) জানানো হয়েছিল, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩ হাজার ৮০৯ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৮৭ জনে। এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪৩ মারা গিয়েছিলেন। মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ১ হাজার ৭৩৮ জনে।

এ হিসেবে দেখা যাচ্ছে রোববারের তুলনায় সোমবার মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে ২ জন। আর শনাক্তের সংখ্যা বেড়েছে ২০৫ জন।

সোমবার (২৯ জুন) দুপুরে করোনাভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে এ তথ্য জানান সংস্থাটির অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

দেশে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড আছে ৫৩ জনের। সে তথ্য জানানো হয় ১৬ জুনের বুলেটিনে।

বুলেটিনে বরাবরের মতো করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে সবাইকে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, মুখে মাস্ক পরা এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান ডা. নাসিমা।

বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হলেও প্রথম মৃত্যুর খবর আসে ১৮ মার্চ। দিন দিন করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ায় নড়েচড়ে বসে সরকার। ভাইরাসটি যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য ২৬ মার্চ থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয় সব সরকারি-বেসরকারি অফিস।

কয়েক দফা বাড়িয়ে এ ছুটি ৩০ মে পর্যন্ত করা হয়। ছুটি শেষে করোনার বর্তমান পরিস্থিতির মধ্যেই ৩১ মে থেকে দেশের সরকারি-বেসরকারি অফিস খুলে দেয়া হয়। তবে বন্ধ রাখা হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।