বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অন্যতম অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। তিনি ক্রিকেটের তিন ফরমেটেই দাপটের সাথে খেলে যাচ্ছেন। এবার তিনি টেস্ট ম্যাচে চতুর্থ বাংলাদেশি হিসেবে আট নম্বরে ব্যাট করতে নেমে শতক তুলে নিয়েছেন। এর আগে খালেদ মাসুদ পাইলট, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও সোহাগ গাজী এ কৃতিত্ব গড়েন ।

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১০৩ রানে থামেন তিনি। মিরাজের ক্যারিয়ারের প্রথম শতকের দিনে ৪০৩ রানে অল আউট হয়েছে বাংলাদেশ।

২০০৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শতক তুলেছিলেন সাবেক উইকেট রক্ষক পাইলট। ঢাকায় ১০৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। এদিকে ২০১০ সালে হ্যামিল্টনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১১৫ রানের করেছিলেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। অন্যদিকে ২০১৩ সালে ঢাকায় প্রতিপক্ষ ছিল একই। ১০১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন সোহাগ গাজী।

আগের দিনের ৫ উইকেটে ২৪২ রান নিয়ে খেলতে নেমে শুরুটা খুব একটা ভালো হয়নি রাসেল ডমিঙ্গোর শিষ্যদের।

দলীয় ২৪৮ ও ব্যক্তিগত ৩৮ রান করে জোমেল ওয়ারিকেনের বলে বোল্ড হন লিটন দাস। তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে ক্যারিয়ারের ২৫তম অর্ধশতক তুলে নেন সাকিব আল হাসান। রাকিম কর্নওয়ালের বলে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরার আগে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার করেন ৬৮ রান।

তবে টাইগারদের রান তোলার গতি কমাতে পারেনি ক্যারিবীয় বোলাররা। তাইজুল ইসলামের সঙ্গে ৪৪, নাইম হোসেনের সঙ্গে ৫৭ ও মুস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে ১৪ রানের জুটি গড়েন মেহেদী হাসান মিরাজ।

৭২ বলে ১৮ রান করেন তাইজুল, ৪৬ বলে ২৪ রান করেন নাইম। অন্যদিকে ক্যারিয়ারের প্রথম শতক তুলে নেন মিরাজ। ১৬৮ বলে ১০৩ রানের ইনিংস খেলে কর্নওয়ালের বলে বদলি ফিল্ডারের হাতে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন। মাঠ ছাড়ার আগে ১৩টি চার দিয়ে ইনিংসটি সাজান তিনি। ১১ বলে ৩ রান করে অপরাজিত ছিলেন মুস্তাফিজ।

আগের দিন ১৫৪ বলে সাদমান ইসলাম করেন ৫৯ রান। ১৫ বলে ৯ রান করেন তামিম ইকবাল। নাজমুল হোসেন শান্ত ৫৮ বলে তুলেন ১৫ রান। ৯৭ বলে ২৬ রান করেন মুমিনুল হক ও ৬৯ বলে ৩৯ রান তুলেন মুশফিকুর রহিম।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে চার উইকেট তুলে নেন ওয়ারিকান, দুটি উইকেট শিকার করেন কর্নওয়াল। একটি করে উইকেট তুলেছেন কেমার রোচ, শ্যানন গ্যাব্রিয়েল ও নক্রুমাহ বোনার।