চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: চট্টগ্রামে এক ফ্রিল্যান্সারকে আটকের পর মামলা ও ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে সাড়ে তিন কোটি টাকা সরিয়ে নেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত ৭ পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দুপুরে সিএমপি কমিশনার (অ্যাডিশনাল আইজিপি) কৃষ্ণ পদ রায় স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে এই নির্দেশনা দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার স্পিনা রানী প্রামাণিক।

তিনি জানান, সাড়ে ৩ কোটি টাকা লুটের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দাখিলের পর এ আদেশ দেয়া হয়। এ দিকে আদালতের নির্দেশে এ ঘটনায় দায়ের হওয়া ২টি মামলার তদন্ত শুরু করেছে পিবিআই। বরখাস্ত পুলিশ সদস্যরা হলেন- নগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার উত্তর-দক্ষিণ জোনের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আলমগীর হোসেন, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. বাবুল মিয়া, মো. শাহ পরাণ জান্নাত, মাইনুল হোসেন, জাহিদুর রহমান এবং আব্দুর রহমান।

এ বিষয়ে নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (সদর) মো. আব্দুল ওয়ারিশ বলেন, ডিবির সাত সদস্যকে সাময়িক বরখাস্তের একটি আদেশ পেয়েছি। অভিযোগে জানা যায়, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত ১০টার দিকে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন গুলবাগ আবাসিক এলাকা থেকে আবু বকর সিদ্দিক নামের এক ফ্রিল্যান্সারকে আটক করে ডিবি পরিদর্শক মো. রুহুল আমিনের নেতৃত্বে একটি দল।

আবু বকর সিদ্দিকের অভিযোগ, ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে তার হাতের আঙুলের ছাপ নিয়ে মোবাইলের লক খুলেছিলেন পুলিশ সদস্যরা। ওই রাতে তাকে মনসুরাবাদে ডিবি হেফাজতে রাখা হয়। এ সময় তার মোবাইল থেকে দুটি ব্যাংকে অ্যাকাউন্টের ৫ লাখ করে ১০ লাখ টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে স্থানান্তর করা হয়। এ ছাড়া তার বাইন্যান্স অ্যাকাউন্ট থেকে ২ লাখ ৭৭ হাজার ডলার (প্রায় ৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা) স্থানান্তর করা হয়েছে।

সাড়ে তিন কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পেয়ে সিএমপি কমিশনার গত ২ মার্চ তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। কমিটির প্রধান করা হয় সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম শাখার অতিরিক্ত উপ কমিশনার আসিফ মহিউদ্দিনকে। অপর দুই সদস্য হলেন- ডিবির এডিসি শেখ মোহাম্মদ শাব্বির ও ডবলমুরিং জোনের সহকারী কমিশনার মুকুর চাকমা। মঙ্গলবার কমিটি প্রতিবেদন জমা দেয়।