আ. স. ম আল-আমীন: ইসলাম এসেছে দুনিয়া থেকে কুফরী, সন্ত্রাসী, নৈরাজ্য, ও বিভিন্ন প্রকারের অশান্তি দূর করার জন্য। কিভাবে এধরনের অশান্তি দূর হবে, সে সম্পর্কে পবিত্র কোরআনের সুস্পষ্ট বক্তব্য রয়েছে। আর এ বক্তব্যের বাস্তব নমুনা প্রতিষ্ঠা করে দেখিয়ে দিয়েছেন, বিশ্ব মানবতার মুক্তির দূত হযরত মুহাম্মদ (সঃ)। আসুন দেখে নেই কোরআনের বক্তব্য এবং রাসুলের বাস্তব নমুনা। পবিত্র কোরআনের বক্তব্য, اِنَّمَا جَزٰٓؤُا الَّذِیۡنَ یُحَارِبُوۡنَ اللّٰہَ وَ رَسُوۡلَہٗ وَ یَسۡعَوۡنَ فِی الۡاَرۡضِ فَسَادًا اَنۡ یُّقَتَّلُوۡۤا اَوۡ یُصَلَّبُوۡۤا اَوۡ تُقَطَّعَ اَیۡدِیۡہِمۡ وَ اَرۡجُلُہُمۡ مِّنۡ خِلَافٍ اَوۡ یُنۡفَوۡا مِنَ الۡاَرۡضِ ؕ ذٰلِکَ لَہُمۡ خِزۡیٌ فِی الدُّنۡیَا وَ لَہُمۡ فِی الۡاٰخِرَۃِ عَذَابٌ عَظِیۡمٌ

অর্থ: যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবং যমীনে ফাসাদ করে বেড়ায়, তাদের আযাব কেবল এই যে, তাদেরকে হত্যা করা হবে অথবা শূলে চড়ানো হবে কিংবা বিপরীত দিক থেকে তাদের হাত ও পা কেটে ফেলা হবে অথবা তাদেরকে দেশ থেকে বের করে দেয়া হবে। এটি তাদের জন্য দুনিয়ায় লাঞ্ছনা এবং তাদের জন্য আখিরাতে রয়েছে মহাআযাব।(সুরা মায়েদা,৩৩)

রাসুলের বাস্তব নমুনা:

হযরত আনাস ইবনে মালেক (রাঃ) হতে বর্নিত আছে যে” উকল” গোত্রের কতগুলো লোক রাসুল (সঃ) এর নিকট আগমন করে এবং তিনার কাছে ইসলামের বাইয়াত গ্রহন করে। অতঃপর মদিনার আবহাওয়া তাদের স্বাস্থ্যের প্রতিকূল হওয়ায়, তারা রাসুল (সঃ) এর কাছে অভিযোগ পেশ করেন। তখন রাসুল ( সঃ) তাদেরকে বললেন তোমরা চাইলে আমাদের রাখালের সাথে চলে যাও, সেখানে প্রস্রাব ও দুধ পান করার মাধ্যমে তোমাদের চিকিৎসা করা হবে। তরা বলল, হ্যাঁ ( আমরা যেতে চাই) সুতরাং তাঁরা বেরিয়ে পড়ল।

অতপর তাদের রোগ সেরে গেল। তখন তারা রাখাল কে হত্যা করলো এবং উটগুলি হাঁকিয়ে নিয়ে চলে গেল। রাসুল ( সঃ)এর কাছে এ সংবাদ পৌঁছলে তিনি সাহাবায়ে কেরামকে তাদের পশ্চাদ্ধাবন করে তাদেরকে ধরে আনার নির্দেশ দেন। অতএব তাদেরকে পাকড়াও করে রাসুল( সঃ) সামনে পেশ করা হয়। তখন তাদের হাত – পা কেটে ফেলা হয়, এবং চোখে গরম শলাকা ভরে দেয়া হয়। অতঃপর তাদের কে রোদে ফেলে রাখা হয়, ফলে তারা ছটফট করে মৃত্যুবরন করে (বুখারী)। সহীহ মুসলিমে রয়েছে যে, ঐলোকগুলো ছিল উকিল গোত্রের কিংবা উরাইনা গোত্রের( মুসলিম ৩/১২৯৬) (সুত্র, তাফসীরে ইবনে কাসির ৬৫০-৬৫১)

বর্তমান সময়ে যদি এমন একটি বিচার কার্যকর করা হতো তাহলে সন্ত্রাসী এবং অশান্তিকর কৃতকর্ম থেকে মানুষ অনেকটায় সরে আসতো। কিন্তু বাস্তবতা হলো ,এই আইন বাস্তবায়ন করার জন্য ইসলামী শাসন ব্যবস্থার বিকল্প নাই।