আসছে শীতকাল। শীতকালীন সবজিতে ভরপুর ঝিনাইদহ সবজি বাজারগুলো এবং দাম ভালো পাওয়ায় লাভবান কৃষক। বাজারমূল্যে এ অবস্থায় আরও ২ মাস চললে ঝড় ও অতিবৃষ্টিতে হওয়া ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবেন কৃষক।

এদিকে সবজি উৎপাদনে কৃষকদের সকল প্রকার সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তারা।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নগরবাথান বাজার। সকাল থেকে সদর ও হরিণাকুন্ডু উপজেলার কৃষকরা তাদের উৎপাদিত সবজি নিয়ে বাজারে আসতে শুরু করেন। গত বছরের চেয়ে এ বছর আগাম শীতকালীন সবজির দাম ভালো পাচ্ছেন তারা। সম্প্রতি আম্পান ও টানা বর্ষণে সবজির ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় সবজির যোগান কম। তাই পাইকারি বাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব সবজি। কৃষকরা জানায়, সবজির বর্তমান দাম আগামী দুই মাস অব্যাহত থাকলে সব ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবেন তারা।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে প্রতিমন ফুলকপি ২ হাজার থেকে ২২’শ, বেগুন ২ হাজার, সীম ৫ হাজার থেকে সাড়ে ৫ হাজার, মুলা ১৮’শ থেকে ২ হাজার, কাঁচা মরিচ ৬ থেকে সাড়ে ৬ হাজার টাকা মন দরে বিক্রি হচ্ছে।

এখানকার উৎপাদিত সবজির মান ভালো ও দাম তুলনামুলক কম হওয়ায় পাঠানো হচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে।

এদিকে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের সকল প্রকার প্রযুক্তিগত সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে বলে জানালেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা
সট: মো: জাহিদুল করিম, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, ঝিনাইদহ।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য মতে চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত জেলার ৬ উপজেলায় ৯ হাজার ৩’শ ৯৫ হেক্টর জমিতে সবজি আবাদ হয়েছে।