প্রতিটি শিশু যথাযথ শিক্ষার মাধ্যমে আগামী দিনে দেশের কর্ণধার হবে, তারা সুন্দর জীবন কাটাবে। শিশুদের উন্নত ভবিষ্যৎ উপহার দেয়ার লক্ষ্য নিয়ে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে, যাতে তারা দেশের কর্ণধার হতে পারে এমনটিই জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (১৮ অক্টোবর) সকালে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ছোট ছেলে শহীদ শেখ রাসেলের ৫৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ভার্চুয়ালি বক্তব্য প্রদানকালে এ কথা বলেন।

শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) এ কর্মসূচির আয়োজন করে।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশের শিশুরা দেশপ্রেমিক, ভালো মানুষ, যোগ্য নাগরিক হয়ে জনগণের সেবা করবে এবং আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হবে। ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার খেয়াল রাখার পাশাপাশি তাদের খেলাধুলা ও শরীরচর্চার বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ জানান প্রধানমন্ত্রী।

শিশুদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এই অস্বাভাবিক পরিস্থিতি হয়তো থাকবে না, তোমাদের (শিশু) অত্যন্ত মনোযোগ সহকারে বাড়িতে লেখাপড়া চালিয়ে যেতে হবে এবং অন্যান্য ক্রিয়াকলাপও চালিয়ে যেতে হবে যাতে যখনই স্কুল খোলা হবে তখনই সেই পরিবেশের সাথে নিজেদের মানিয়ে নিতে পারো।

শেখ হাসিনার ছোট ভাই শেখ রাসেল ১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর ধানমন্ডির ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবনে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র শেখ রাসেলকেও নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।