জাপান সস্প্রতি তাদের শান্তিবাদী নীতি থেকে সরে আসার ঘোষণা দিয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে যেকোনো ধরনের বিরোধ নিষ্পত্তিতে কার্যকর উপায় হিসেবে যুদ্ধ বা সহিংসতার বিরোধিতা করে আসছিল জাপান।

কিন্তু ইতোমধ্যে সামরিক খাতে ব্যয় বাড়াতে শুরু করেছে টোকিও। এবার নিজেদের সামরিক সক্ষমতা বাড়ানোর পরিকল্পনাকে ছাপিয়ে গেছে জাপান। রীতিমতো সারা বিশ্বে বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বে মারণাস্ত্রসহ অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান রপ্তানির উদ্যোগ নিয়েছে টোকিও। খবর এবিসি নিউজ।

তাদের ঐতিহ্যবাহী শান্তিবাদী নীতি থেকে সরে আসার সবশেষ পদক্ষেপ হিসেবে জাপানের মন্ত্রিসভা যুক্তরাজ্য এবং ইতালির সঙ্গে নির্মিতব্য নতুন যুদ্ধবিমান রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে।

মন্ত্রিসভা অস্ত্র রপ্তানির নিয়মনীতি সহজ করার পক্ষে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যাতে জাপান যে দেশগুলোর সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি সই করেছে এবং যেখানে কোনো চলমান সংঘাত নেই সেসব দেশের কাছে যুদ্ধবিমান বিক্রির অনুমতি দেয়া যায়।

জাপান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রতিটি যুদ্ধবিমান রপ্তানির জন্য মন্ত্রিসভার আলাদা অনুমোদন লাগবে।

আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী চীন ও উত্তর কোরিয়ার ক্রমবর্ধমান হুমকির কথা উল্লেখ করে জাপান ২০২৭ সালের মধ্যে সামরিক ব্যয় দ্বিগুণ করার ঘোষণা দিয়েছে।

২০২২ সালের ডিসেম্বরে জাপান একটি যুক্তরাজ্য–ইতালি সহযোগিতা প্রকল্পে যোগ দেয়, যাকে বলা হয় ‘টেম্পেস্ট’। যৌথ উদ্যোগের এই নতুন যুদ্ধবিমানে পাইলটদের সহায়তা করার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং উন্নত সেন্সর ব্যবহার করা হবে। ২০৩৫ সালের মধ্যে জেটগুলো প্রস্তুত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

আর এটিই হবে পশ্চিমের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়া অন্য কোনো দেশের সঙ্গে টোকিওর প্রথম প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উন্নয়ন অংশীদারত্ব।