কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি: চলছে পবিত্র রমজান মাস। সারাদিন রোজা রেখে ইফতারির সময় লেবুর রস মিশিয়ে শরবত তৈরি করে খাওয়ার ইচ্ছে সকলের। এতে শরীরের ক্লান্তি দূর হয়।

১৪ মার্চ বৃহস্পতিবার আসরের নামাজ শেষে কিশোরগঞ্জের ইটনা বড় বাজারের কাঁচাবাজারে ঢুকলাম। প্রথমে গিয়ে লেবুর দাম জিজ্ঞেস করলাম, দোকানদার উত্তরে জানালেন প্রতি হালি ৫০ টাকা, দামাদামি চলবে না।

উনার এই কথা শুনে আর কিছু বলার সাহস পাইনি। একটুও এগিয়ে অন্য একটা কাঁচাবাজারে দোকানে জিজ্ঞেস করলাম লেবুর হালি কত, উনার লেবুর সাইজে একটু ছোট তাই দাম চাচ্ছে ৪৫ টাকা। আর একটা দোকানে জিজ্ঞেস করলাম একই অবস্থা ৫০ টাকা। আমার জন্য নাকি কিছু টা কম রাখতে পারবেন এমন শান্তনা দিলেন।

দোকানদারকে জিজ্ঞেস করলাম এত দাম কেন, তিনি একটু রাগান্বিত কণ্ঠে উত্তর দিলেন, আপনারা কী আমাদেরকে ছাড়া আর কিছু দেখেন না। আমাদের বেশি দামে কিনতে হয়, তাই আমাদের বেশি দামে বিক্রি করতে হয়। বড় বড় ব্যবসায়ীদের কিছু করতে পারেন না, শুধু ছোট ছোট দোকানদারকে জরিমানা করেন।

উনার রাগের কারণ টা বুঝতে পারছি, দুপুরে উপজেলা প্রশাসন বাজারে মনিটরিং করে গেছে, এতে উনাদের মনে কষ্ট হয়েছে।

অবশেষে উনাদের কথা শুনে লেবু না কিনে অন্য কিছু কিনে ফেরলাম। আসুন একটা হিসাব করি, যারা দৈনিক ৩০০-৩৫০ টাকা মজুরিতে কাজ করে আর যদি ঐ পরিবারে ৩-৪ জন সদস্য থাকে তাহলে তারা কী লেবু কিনবে নাকি পরিবারের জন্য চাল-ডাল-তেল ইত্যাদি কিনবে।