নওগাঁয় মাংসের বাজারে যৌক্তিক দর মানা হচ্ছে না। লাফিয়ে বাড়ছে মুরগির দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে প্রকারভেদে সবধরণের মুরগির দাম বেড়েছে ১৫-২০ টাকা। রমজানের ঈদকে সামনে রেখে মাংসের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়তে হয়েছে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষদের। দাম বাড়ায় ক্রেতা-বিক্রেতাদের মাঝে তর্ক-বিতর্ক বাড়ছে। দাম বাড়ায় বেচাকেনাও অনেক টা কমেছে। মাংসের দাম বাড়ায় ব্যবসায়িদের সিন্ডিকেটকে দায়ি করছেন ভোক্তারা।

নওগাঁ পৌর মুরগির বাজার সূত্রে জানা যায়- গত এক সপ্তাহ আগে ব্রয়লার মুরগির কেজি ছিল ১৭৫ টাকা। কেজিতে ১৫-২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৯০-২০০ টাকা। কোথায়ও আবার ২১০-২১৫ টাকাও বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বিবি-৩ জাতের মুরগি ২৬০ টাকা, লাল মুরগি ৩০০ টাকা, পাকিস্থানী ৩৪০ টাকা, লেয়ার ৩১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে দেশি মুরগি ৫৮০-৬০০ টাকা।

অপরদিকে, গরুর মাংসের দাম ৬৬৫ টাকা থেকে ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যে মাংস ৬৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে সেখানে ২০০-৩০০ গ্রাম চর্বি ও ঝিল থাকছে। এতে ক্রেতার সাথে ব্যবসায়ির তর্কও বাড়ছে। তবে ভাল মাংস কিনতে হলে ক্রেতাকে ৭৫০ টাকা গুনতে হবে।

নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষদের গরু ও ছাগলের মাংস কেনার সামর্থ নাই। তারা মাংসের চাহিদা পুরনে লেয়ার, ব্রয়লা ও লাল মুরগি কিনে থাকে। সপ্তাহের ব্যবধানে এসব মুরগির দামও উর্ধ্বগতি হয়েছে। সামনের ঈদকে কেন্দ্র করে মুরগির দাম বেড়ে যাওয়ায় অনেকটা নাভিশ্বাস ঠেকছে। এতে ভোক্তাদের মাঝেও ক্ষোভ বাড়ছে। বাজারে গিয়ে মুরগির দাম শুনে অনেকের চোখ কপালে উঠার মতো। আবার অনেকে চমকে উঠছে। যে পরিমাণ মুরগি কেনার জন্য ক্রেতারা বাজারে গিয়েছেন দাম বাড়তির কারণে তা সম্ভব হচ্ছে। দাম বাড়ায় অল্প পরিমাণে কিনতে বাধ্য হচ্ছে।

শহরের চকবাড়িয়া মহল্লার রিকশা চালক হাকিম বলেন, আগে ব্রয়লার মুরগি ছিল ১৭৫ টাকা কেজি। আজ কিনতে হলো ২০৫ টাকা কেজি। দাম বেশি উপায় নাই। কাকে কি বলবো আর কে শুনবে কার কথা। কখন কোন জিনিসের দাম বাড়ছে বলা মুশকিল। গরীব মানুষ ব্রয়লার মুরগি খাই। এখন তার দামও বাড়লো। ২ কেজির ওপর মুরগির দাম পড়লো ৪৪৮ টাকা। খাওয়া লাগবে তাই কিনতে হলো।

মুরগি ব্যবসায়ি আতোয়ার হোসেন বলেন, কয়েক দিনের ব্যবধানের মুরগির দাম বেড়েছে। সরকার যে দাম বেঁধে দিয়েছে সে দামে বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না। আমাদের বেশি দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে দাম বাড়ায় বিক্রির পরিমাণ কিছুটা কমেছে। ক্রেতাদের সাথে বাড়তি কথা বলতে হচ্ছে।

নওগাঁ জেলা কৃষি বিপনন কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, বাজার সহনীয় পর্যায়ে রাখতে জেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় তদারকি করা হচ্ছে। ব্যবসায়িরা মুরগি যে দামে কিনছে তার রশিদও দেখাচ্ছে। খামার পর্যায়ে মুরগির দাম বাড়ানো হয়েছে। তবে খামার এবং ব্যবসায়িরা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়ানোর সাথে যুক্ত থাকতে পারে। বিষয়টি দেখবেন বলে জানান।