ধর্ম ডেস্ক: রমজান মুমিন জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়। এ মাস আখেরাতের পাথেয় গোছানোর মাস। বরকত ও নাজাতের মাস। এই মাসে বর্ষিত হয় রহমতের বারিধারা। ক্ষমা লাভের জন্য চমৎকার একটি মাস পবিত্র রমজান। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি রমজানে ঈমানের সাথে ও সওয়াব লাভের আশায় রমজানের রোজা পালন করে, তার পূর্ববর্তী গুনাহসমূহ মাফ করে দেওয়া হয় এবং যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে, সওয়াব লাভের আশায় লাইলাতুল কদরে রাত জেগে দাঁড়িয়ে সালাত (নামাজ) আদায় করে, তার পূর্ববর্তী গুনাহসমূহ মাফ করে দেওয়া হয়। (সহিহ বুখারি: ১৮৮৭)

যে ব্যক্তি রমজান মাসকে গুরুত্বসহকারে নেয়নি, বরং অবহেলার মাধ্যমে এর সময়গুলো নষ্ট করেছে, তার প্রতি আল্লাহ অসন্তুষ্ট। ফেরেশতা অসন্তুষ্ট। প্রিয়নবী (সা.) অসন্তুষ্ট। রাসুলুল্লাহ (সা.) একবার মসজিদে নববির মিম্বরের একেকটি সিঁড়ি চড়ছিলেন, তখন পা রাখার সময় ‘আমিন আমিন আমিন’ তিনবার বলেছিলেন। বিশিষ্ট সাহাবি কাব বিন উজ্জাসহ উপস্থিত যারা ছিলেন, তারা সবাই আল্লাহর রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ! আজ আপনি এমন একটি কাজ করলেন, যা কখনও করতে দেখিনি। এর কারণটা কী?

আল্লাহর রাসুল (সা.) বললেন, কী বিষয়ে? সাহাবায়ে কেরাম (রা.) বললেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ! আপনি ‘আমিন আমিন’ তিনবার বললেন। তখন নবী কারিম (সা.) বললেন, আমি যখন মিম্বরের প্রথম সিঁড়িতে পা রাখলাম, তখন জিব্রাইল (আ.) বললেন, ওই ব্যক্তি ধ্বংস হোক যে পিতা-মাতা উভয়কে অথবা একজনকে পেয়েও (তাদের খেদমত করে) জান্নাতে প্রবেশ করতে পারল না। তখন আমি তাকে সমর্থন করে বললাম ‘আমিন’ (হে আল্লাহ কবুল করো)। অতঃপর তিনি বললেন, ওই ব্যক্তি ধ্বংস হোক যে রমজান পেয়েও নিজের গুনাহ মাফ করাতে পারল না। আমি তাকে সমর্থন করে বললাম ‘আমিন’। জিব্রাইল (আ.) আবারও বলেন, ওই ব্যক্তি ধ্বংস হোক যার নিকট আমার নাম আলোচিত হলো অথচ সে আমার ওপর দরুদ পড়ল না। আমি তার বক্তব্যকে সমর্থন করে বললাম ‘আমিন’। (সহিহ ইবনে হিব্বান: ৯০৮; আল-আদাবুল মুফরাদ: ৬৪৬)