২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’ মুক্তিতে কোনো মুক্তিপণ দেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। মুক্তিপণ দেওয়ার ভাইরাল ছবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা কোন সিনেমার ছবি আমি তো জানি না। এমন ছবি তো আমরা অনেক চলচ্চিত্রে দেখি।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) সাংবাদিকদের সঙ্গে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। সচিবালয়ে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি আবারো বলেছেন, নাবিকদের মুক্ত করতে জলদস্যুদের মুক্তিপণ দেওয়ার যে কথা বলা হচ্ছে, সে বিষয়ে কোনো তথ্য ‘সরকারের কাছে নেই’।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটা এখন কোন সিনেমার ছবি আমি তো জানি না। এমন ছবি তো আমরা অনেক চলচ্চিত্রে দেখি। কোন ছবি কোথায় গিয়ে কীভাবে যুক্ত হয়েছে, কোনটার সঙ্গে কোনটা এডিট হয়েছে আমি জানি না।

এমভি আবদুল্লাহ সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ায় গত ১২ মার্চ যে উৎকণ্ঠার সূচনা হয়েছিল, তার অবসান ঘটে নতুন বাংলা বছরের শুরুতে। জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত হয়ে ২৩ বাংলাদেশি নাবিককে নিয়ে জাহাজটি সোমালিয়া উপকূল থেকে দুবাইয়ের দিকে রওনা হয়।

এদিকে আবদুল্লাহর নাবিকদের মুক্তির আগের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। দিনের বেলার ওই ভিডিওতে দেখা যায়, আবদুল্লাহর নাবিকরা সবাই জাহাজের ডেকে লাইন ধরে দাঁড়ানো। ছোট আকারের একটি উড়োজাহাজ এমভি আবদুল্লাহর সামনে চক্কর দিচ্ছে।

ওই সময় জলদস্যুরা দুটি স্পিড বোট নিয়ে জাহাজের সামনে অবস্থান নেয়। জাহাজে থাকা একজন বাংলায় নাবিকদের হাত তুলতে বলেন। এরপর সোমালি ভাষায় জলদস্যুদের কিছু বলতে শোনা যায়।

উড়োজাহাজটি একবার চক্কর দিয়ে একটি করে ব্যাগ পানিতে ফেলছিল। তারপর স্পিড বোটে থাকা জলদস্যুরা সেই ব্যাগটি তুলে নিচ্ছিল। এভাবে তিনবার তিনটি ব্যাগ ফেলা হয়। প্রতিবারই জলদস্যুরা উল্লাস করছিল।

তৃতীয় ব্যাগ ফেলার পর উড়োজাহাজটি ঘুরে গন্তব্যের দিকে চলে যায়। এরপর এমভি আবদুল্লাহতে থাকা কেউ একজন ইংরেজিতে নাবিকদের বলেন, তোমরা এবার মুক্ত। এখন চলে যেতে পারবে।