হঠাৎ বিকট শব্দে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে ইরাকের রাজধানী বাগদাদে। অনেকেই ভেবেছিল ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে এমন কিছু ঘটেনি। ঘটনার পরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাগদাদে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস নিজেদের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কার্যকারিতা পরখ করে দেখেছে। পার্সটুডে।

কার্যকারিতা পরখ করতে গিয়ে ব্যবহার করেছে যুদ্ধ সরঞ্জাম। কিন্তু তারা একবারের জন্যও শহরবাসীকে বিষয়টি অবহিত করার প্রয়োজন মনে করেনি। এ কারণে শহরবাসীর মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

ইরাকি বার্তা সংস্থা ‘সাবেরিন নিউজ’ জানিয়েছে, মার্কিন বাহিনী দূতাবাসে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘সিআরএএম’ এর পরীক্ষা চালিয়েছে।

গত সপ্তাহেও একই ধরণের পরীক্ষা চালিয়েছে আগ্রাসী বাহিনী। তারা ইরাক সরকারের অনুমতি নিয়ে এ ধরণের তৎপরতা চালাচ্ছে নাকি গুণ্ডামির অংশ হিসেবে অবৈধভাবে এ কাজ করছে, তা স্পষ্ট নয়।

তবে ইরাকের কয়েক জন রাজনীতিবিদ এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, দূতাবাস হচ্ছে কূটনৈতিক স্থাপনা। কিন্তু বাগদাদে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস সামরিক স্থাপনায় পরিণত হয়েছে যা ইরাকসহ গোটা অঞ্চলের জন্যই বিপজ্জনক।

ইরাকি জনগণের একটা বড় অংশই সেদেশ থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছে। এ বিষয়ে সেদেশের সংসদে একটি বিল পাস হয়েছে।