আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নাগরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে মস্কোতে দীর্ঘ ১০ ঘণ্টার ম্যারাথন আলোচনার পর সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ স্থানীয় সময় ভোর তিনটার কিছু আগে যুদ্ধবিরতির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন। পার্সটুডে।

রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার পর এখন আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান এখন পরবর্তী আলোচনা শুরু করবে। মস্কোতে সই হওয়া শান্তিচুক্তি অনুযায়ী, শনিবার স্থানীয় সময় বেলা ১২টা থেকে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে যুদ্ধবিরতি শুরু হবে। এরপর বন্দি বিনিময় এবং মৃতদেহ উদ্ধারের কাজ শুরু হবে।

এর আগে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শান্তি আলোচনার জন্য যুদ্ধরত আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে মস্কো সফরের আমন্ত্রণ জানান। তিনি বলেন, মানবিক কারণে নাগোরনো-কারাবাখে যুদ্ধ বন্ধ করা উচিত।

বৃহস্পতিবার রাতে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার নেতাদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সে সময় তিনি প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে দুই দেশের নেতাকে সীমিত পরিসরে অস্ত্রবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানোর আহ্বান জানান। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এর মধ্য দিয়ে সীমিত সময়ের জন্য হলেও লড়াই বন্ধ থাকবে এবং দুই পক্ষ যুদ্ধক্ষেত্র থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করে নিতে পারবে। তাছাড়া ওই সময়ের মধ্যে বন্দিবিনিময়ও হতে পারে।

আর্মেনিয়ায় রাশিয়ার একটি সামরিক ঘাঁটি রয়েছে এবং উভয়ই সম্মিলিত সুরক্ষা চুক্তি সংস্থা (সিএসটিও) জোটের সদস্য। তবে আজারবাইজানের সঙ্গে মস্কোরও সুসম্পর্ক রয়েছে।

নাগরনো-কারাবাখ অঞ্চলটি আজারবাইজানের বলে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত কিন্তু ৯০’র দশক থেকে সেটি আর্মেনিয়ার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। গত ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে নগরনো-কারাবাখ নিয়ে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হয়। এখন পর্যন্ত ৩০০ জনের বেশি মানুষ এতে মারা গেছেন এবং হাজারো মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়েছেন।