রাজধানীর মগবাজারের পিয়াসি রেস্টুরেন্ট ও বার সরকারের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মদের হোম ডেলিভারি দিচ্ছিল।

আজ মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) ওই বারে অভিযান চালিয়ে এ তথ্য জানায় ভ্যাট গোয়েন্দা। সেখানে অনুমোদনের বেশি পরিমাণ মদ সংরক্ষণ ও তা অবৈধভাবে বিক্রির প্রমাণ পাওয়া গেছে। এছাড়াও অভিযানে ওই প্রতিষ্ঠানটির ভ্যাট ফাঁকির প্রমাণ পেয়েছে সংস্থাটি।

ভ্যাট গোয়েন্দার মহাপরিচালক ড. মইনুল খান জানান, অবৈধভাবে মদ বিক্রি করে ভ্যাট ফাঁকির গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই অভিযান চালানো হয়। এই রেস্টুরেন্ট বারে সরকারের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে হোম ডেলিভারির মাধ্যমে মদ বিক্রি করার প্রমাণ পাওয়া গেছে। কারণ মদ পানের লাইসেন্স যাদের রয়েছে তারা বারে এসেই মদ পান করতে পারবেন, বারের বাইরে মদ নেয়ার সুযোগ নেই। প্রতিষ্ঠানটি এ বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মাসিক ভ্যাট রিটার্নে শূন্য বিক্রি দেখিয়েছে।

তিনি আরো জানান, অভিযানে পিয়াসি রেস্টুরেন্ট ও বারের স্টকে ১৪১৫ লিটার দেশি ও বিদেশি মদ পাওয়া গেছে। কিন্তু মাদকের লাইসেন্স অনুসারে তাদের মজুদ থাকার কথা ১৯২৭ লিটার। প্রতিষ্ঠানটি বার থেকে ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে প্রায় ৬৫০ বোতল মদ ও খাদ্যদ্রব্য অবৈধভাবে বিক্রি করেছে মর্মে প্রাথমিকভাবে প্রমাণ মিলেছে। কোনও মদের বার ও রেস্টুরেন্টে যেকোনো পণ্য বিক্রিতে সরকারের ১৫% ভ্যাট ও ২০% সম্পূরক শুল্ক প্রযোজ্য। প্রতিষ্ঠানটির ভ্যাট রিটার্নে শূন্য বিক্রি দেখানোর ফলে সরকার প্রায় ১০ লাখ টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে।

উল্লেখ্য, করোনার কারণে রেস্টুরেন্ট বারে মদ জাতীয় দ্রব্য বিক্রিতে সরকারের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এই বারটি ভ্যাট গোয়েন্দা অফিসের প্রায় ২০০ মিটার দূরে থেকে গোপনে এই ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল। সংবাদ পাওয়ার পর ভ্যাট গোয়েন্দা এই অভিযানটির উদ্যোগ নেয়। ভ্যাট গোয়েন্দার দল প্রতিষ্ঠানটি কর্তৃক অনুমোদিত মদের বাইরে কোনও মদজাতীয় দ্রব্য বিক্রির সঙ্গে জড়িত কিনা কি না তা খতিয়ে দেখছে।

ভ্যাট গোয়েন্দা অবৈধভাবে মদ বিক্রির দায়ে ভ্যাট আইন ও অন্যান্য আইনে পিয়াসি রেস্টুরেন্ট ও বারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে। অভিযানটি পরিচালনা করেন ভ্যাট গোয়েন্দার উপ-পরিচালক তানভীর আহমেদ।