বর্তমান কমিশন খুব বেশি আইপিও’র অনুমোদন দেবে না বলে জানিয়েছেন, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। বাজারে চাহিদা তৈরি না হওয়া পর্যন্ত যোগান সেভাবে বাড়ানো হবে না বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, আইনী বাধ্যবাধকতার কারণে এমনিতেই এ বছর অনেকগুলো ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির আইপিও অনুমোদন করতে হবে। তাই অন্য খাতের কোম্পানির খুব একটা অনুমতি দেবেন না তারা। তবে খুব ভালো কোম্পানিগুলোকে উৎসাহ দেওয়া হবে। অর্থসূচক।

শনিবার (২০ জুন) সিটি ব্যাংক ক্যাপিটাল রিসোর্সেস লিমিটেড আয়োজিত পুঁজিবাজার ও মুদ্রাবাজারসহ সংশ্লিষ্ট খাতে আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের সম্ভাব্য প্রভাব বিষয়ক এক ওয়েবিনারে (ওয়েব সেমিনার) তিনি এ কথা বলেন।

ওয়েবিনারে আলোচনায় অংশ নেন বেসরকারি ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক মঈনউদ্দীন এবং সিটি ব্যাংক ক্যাপিটাল রিসোর্সেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরশাদ হোসেন।

ফারুক মঈনউদ্দীন দেশীয় বড় বড় লাভজনক কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে নিয়ে আসার প্রসঙ্গ তুললে বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, তিনি চান, বড় কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত না হয়ে তারা বন্ডের মাধ্যমে তাদের প্রয়োজনীয় তহবিল সংগ্রহ করুক। বর্তমান কমিশন খুব বেশি আইপিও’র অনুমোদনে আগ্রহী নয়।

বিএসইসি চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম আগামী দিনে যাতে বাজারে কোনো মন্দ আইপিও আসবে না বলে আশ্বাস দেন।

তিনি বলেন, কোনো মন্দা আইপিও যাতে না আসতে পারে সে বিষয়েও কাজ করছে বিএসইসি। আইপিও অনুমোদনের আগে সব ডকুমেন্টস ভালভাবে পরীক্ষা করা হবে, কোম্পানি পরিদর্শন করা হবে।এছাড়া এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআর ও এফআরসি’র সহায়তা নেবে। আগামী দিনে তিন ধরনের ব্যালান্সশিট বানিয়ে তিন জায়গায় দেওয়ার সুযোগ থাকবে না। কারোরই অ্যাকাউন্টস জাগলারি (হিসাব কারসাজি) করে বাজারে আসার সুযোগ থাকবে না।

তিনি বলেন, যে শেয়ার আমি কিনবো না, সেই বাজারে ছাড়বো কেন। এ বিষয়টির ব্যাখ্যা করে তিনি জানান, এটি তিনি প্রতীকী অর্থে বলেছেন। তার নিজের কোনো বিনিয়োগ নেই পুঁজিবাজারে।