আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আগামীকাল (২৭ মার্চ) বা পরশু (২৮ মার্চ) দেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে কালবৈশাখী ঝড়ও হতে পারে বলেও আবহাওয়া অধিদফতর থেকে জানানো হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ মার্চ) আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ মো. হাফিজুর রহমান।

তিনি বলেন, এ মাসের শেষের দিকে অর্থাৎ ২৭ ও ২৮ মার্চ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনাও আছে। এছাড়া কোথাও কোথাও আবার কালবৈশাখী ঝড়ও বয়ে যেতে পারে বলে উল্লেখ করেন এ আবহাওয়াবিদ।

তিনি আরও বলেন, বৃষ্টি হওয়ার পর কিছু এলাকায় তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে বৃষ্টির মাত্রাও দীর্ঘস্থায়ী হবে না। তবে বৃষ্টির পাশাপাশি কালবৈশাখী ঝড় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কোথাও কোথাও ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৭০ কিলোমিটার গতিতে এ ঝড় বয়ে যেতে পারে।

মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ‘সাধারণত চৈত্র মাসে সারা দেশের আবহাওয়া উত্তপ্ত থাকে। একাধিক স্থানে দাবদাহ বয়ে যায়। এবারও তাই হচ্ছে। আগের চেয়ে অনেক এলাকাতেই দাবদাহের তীব্রতা কমেছে। বৃষ্টি শুরু হলে এটি কমে যাবে।’

এদিকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশের দিন ও রাতের তাপমাত্রাও সামান্য কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগসহ রাজশাহী, পাবনা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর ও ফেনী অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে। কিছু এলাকায় এ দাবদাহ ধীরে ধীরে কমতে পারে।

সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ হিমালয়ের পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। সকালে ঢাকায় বাতাসের গতি ও দিক ছিল পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার। বাতাসের আপেক্ষিক আদ্রতা ছিল ৬০ শতাংশ।

বৃহস্পতিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় খুলনায় ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় তেঁতুলিয়ায় ১৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।