লালমনিরহাটে ভারি বর্ষণ ও উজানের ঢলে আবারো বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। এতে আবারো নতুন করে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে, ২৫ চরের প্রায় ২০ হাজার মানুষ ।

শুক্রবার (২৬জুন) সকাল ছয়টায় তিস্তার পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানির চাপ সামলাতে তিস্তা ব্যারেজের সবগুলো গেট খোলা রাখা হয়েছে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানিয়েছেন। মূলত বৃহস্পতিবার রাত থেকে তিস্তার পানি দ্বিতীয় দফায় বাড়তে শুরু করে।

এতে সদর উপজেলার গোকুন্ডা, খুনিয়াগাছ, রাজপুর, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা, কলতারপাড়, কুটিরপাড়, কালিগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, চরবৈরাতি,কাকিনা,হাতীবান্ধা উপজেলার সিন্ধুনা,পাটিকাপাড়া, গড্ডিমারী ও পাটগ্রাম উপজেলার বহুল আলোচিত দহগ্রাম- আঙ্গরপোতাসহ নিম্নাঞ্চলের ব্যাপক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার ঘর-বাড়ি ছাড়া ভুট্টাসহ বিভিন্ন ফসলি জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে । তিস্তার পানি আসা যাওয়ার কারণে নদীতীরবর্তী এলাকার মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই।