ট্রাম্প প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকারী বিদেশি শিক্ষার্থীরা শুধু অনলাইন ক্লাস করলে দেশ ছাড়তে হবে বলে যে ঘোষণা দেয়া হয়েছিল তা বাতিল করেছে । বোস্টনে দেশটির একজন ফেডারেল বিচারকের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার (১৪জুলাই) মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন এ খবর প্রকাশ করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট মাত্র এক সপ্তাহ আগে ঘোষণা করেছিল যে, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বিদেশি শিক্ষার্থীরা শুধু অনলাইন ক্লাস করতে পারবেন না।

শুধু অনলাইন ক্লাস করতে চাইলে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়তে হবে বা বিশ্ববিদ্যালয় পাল্টাতে হবে। ওই আদেশের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি)। এরপর অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয় ও অঙ্গরাজ্যের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়।

মঙ্গলবার ম্যাসাচুসেটসে ডিস্ট্রিক্ট জজ অ্যালিসন বুরোফ জানান, যুক্তরাষ্ট্র সরকার, হার্ভার্ড ইউনিভার্সিট ও ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিউট অব টেকনোলজির মধ্যকার মামলায় সমঝোতা হয়েছে। সরকার নতুন আইন বাতিল ও আগের অবস্থায় ফিরে যাবে। তবে চলমান প্রক্রিয়া সম্পর্কে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ।
বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র সিএনএনকে জানায়, প্রস্তাবটির ফলে নেতিবাচক প্রভাবের কথা অনুধাবন করতে পেরেছে হোয়াইট হাউজ এবং ওয়েস্ট উইংয়ের অনেকেই এই সিদ্ধান্তটি সুবিবেচনা প্রসূত নয় বলে মনে করেন এবং বাস্তবায়ন নিয়ে সন্দিহান।

আরেকটি সূত্র জানায়, হোয়াইট হাউজ এখন নতুন আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এই আইনটি বাস্তবায়ন করার বিষয়ে মনোযোগ কেন্দ্রীভুত করেছে। ইতোমধ্যে যারা যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন তাদের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্তটি আর বাস্তবায়ন করা হবে না। এই সিদ্ধান্তের ফলে আপাতত দেশটিতে অধ্যয়নরত ১০ লাখের বেশি বিদেশি শিক্ষার্থীদের স্বস্তি ফিরবে।

গত সপ্তাহে শিক্ষার্থীরা হতাশা ও পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছিলেন। কারণ বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ তাদের কোর্সগুলো অনলাইনে পরিচালনার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে।