রাজধানীর শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক টিকাদান কর্মসূচি উদ্বোধন করেন। সারা বছর ভ্যাকসিন কার্যক্রম চলবে জানিয়ে বলেন, এই ভ্যাকসিন সবচেয়ে নিরাপদ।

টিকা নিয়ে মন্ত্রী বলেন, অ্যাপ কার্যকর না হলেও ওয়েবসাইটে করা যাচ্ছে রেজিস্ট্রেশন। আর সেখানেও ঝামেলা হলে কেন্দ্রে এসে রেজিস্ট্রেশন করা যাবে।

রাজধানীর শতাধিক হাসপাতালে রেজিস্ট্রেশন করা সম্মুখসারির যোদ্ধাসহ যারা প্রথম দফায় টিকা নেওয়ার যোগ্য তারাই নিচ্ছেন টিকা।

গণটিকাদান কর্মসূচির প্রথম দিনে সারাদেশে টিকা নিয়েছেন ৩১ হাজার ১৬০ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ২৩ হাজার ৮৫৭ জন এবং নারী ৭ হাজার ৩০৩ জন। এর মধ্যে টিকা নেওয়ার পর মাত্র ২১ জনের সামান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া (যেমন: জ্বর, টিকা দেওয়া স্থানে লাল হাওয়া ইত্যাদি) দেখা গেছে।

রোববার রাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (এম আই এস) অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুসারে, গত ২৭ জানুয়ারি দেশে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। প্রথম দিনে টিকা দেওয়া হয় ২৬ জনকে।

করোনাভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রমের দ্বিতীয় দিনে ২৮ জানুয়ারি রাজধানীর পাঁচ হাসপাতালে মোট ৫৪১ ব্যক্তিকে টিকা দেওয়া হয়েছে।

এর আগে শনিবার ( ৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ভ্যাকসিনবিষয়ক প্রস্তুতি সম্পর্কে জানাতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক খুরশীদ আলম বলেন, রাজধানী ঢাকায় ৫০টি হাসপাতাল ও সারাদেশে ৯৫৫টি হাসপাতালসহ সারাদেশে মোট এক হাজার ৫টি হাসপাতালে টিকাদান কার্যক্রম চলবে।

তিনি বলেন, রাজধানী ঢাকাতে ৫০টি হাসপাতালে ২০৪টি টিম কাজ করবে। সারাদেশে ৯৫৫টি হাসপাতালে ২ হাজার ১৯৬টি টিম কাজ করবে। এক হাজার ৫টি হাসপাতালে মোট ২ হাজার ৪০০টিম কাজ করবে।

এ ছাড়া ভ্যাকসিনবিষয়ক কার্যক্রমের জন্য টিম প্রস্তুত রয়েছে ৭ হাজার ৩৪৪টি। তবে আপাতত ২ হাজার ৪০০ জনকে দিয়ে কর্মসূচি শুরু হয়েছে।