উন্নত এবং সুশৃঙ্খল জীবনের আশায় চতুর্থ দফায় ভাসানচর যাচ্ছেন আরো ২ হাজার ১২ জন রোহিঙ্গা। সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে নৌবাহিনীর ৫টি জাহাজ তাদের নিয়ে চট্টগ্রামের বোট ক্লাব থেকে যাত্রা করে। এ নিয়ে ৩ মাসে ভাসানচরে বসবাস শুরু হলো সাড়ে আট হাজারের বেশি রোহিঙ্গার।

লম্বা হুইসেল বাজিয়ে একে একে বোট চট্টগ্রাম ক্লাব ঘাট ছাড়ে নৌবাহিনীর পাঁচটি জাহাজ। ২ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা নিয়ে বহুল আলোচিত নোয়াখালীর ভাসানচরের উদ্দেশে এ যাত্রা।

রোববার রাতেই চতুর্থ ধাপে যাওয়া রোহিঙ্গাদের কক্সবাজারের টেকনাফ এবং উখিয়া থেকে চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হয়। উন্নত জীবনের আশায় ভাসানচর যেতে আগ্রহী হয়েছেন বলে জানান রোহিঙ্গারা।

রোহিঙ্গারা জানান, এখানে (কক্সবাজারে) ঘরগুলো খুবই ছোট। থাকতে কষ্ট হয়। সে জন্য যারা ভাসানচরে গেছে, তাদের কাছে ওইখানের সুযোগ-সুবিধার কথা শুনেছি। এ জন্য সেখানে যেতে রাজি হয়েছি।

আগের তিনবারে যাওয়া রোহিঙ্গারাই ভাসানচরে যেতে অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছে ক্যাম্পের বাকি রোহিঙ্গাদের। এক লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করতে বাংলাদেশ সরকার নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে গড়ে তুলেছে উন্নত আবাসন ব্যবস্থা। ইতোমধ্যে সেখানে চালু হয়েছে শিক্ষাব্যবস্থা। কৃষি এবং হাতের কাজের প্রশিক্ষণও নিচ্ছেন রোহিঙ্গা নারী ও পুরুষ।