বাংলাদেশ প্রতিদিনের নির্বাহী সম্পাদক পীর হাবিবুর রহমানের উত্তরার বাসায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। গৃহকর্মীকে নির্যাতনের গুজব রটিয়ে এ হামলা চালানো হয়। বুধবার (১৪ অক্টোবর) রাতে এই ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, হামলাকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে এবং এক পর্যায়ে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ নেয়। এই ঘটনায় কয়েকজন হামলাকারীকে রাতেই আটক করার তথ্য পাওয়া গেছে।

উত্তরার-৪ নম্বর সেক্টরের ৯ নম্বর সড়কের ৬তলা একটি ভবনের পঞ্চম তলায় নিজের ফ্ল্যাটে থাকেন সাংবাদিক পীর হাবিব।

জানা গেছে, বুধবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরের পর এক গৃহকর্মীর চিৎকার শুনে স্থানীয়রা জড়ো হয় পীর হাবিবের বাড়ির সামনে। পরে ওই গৃহকর্মীর মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত জনতা ওই ভবনের মূল ফটকে ভেঙে ঢুকে পড়ে গাড়ি ভাংচুর করে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ডিএমপির বিমানবন্দর জোনের সহকারী কমিশনার খন্দকার রেজাউল হাসান জানান, অসুস্থ ওই গৃহপরিচারিকাকে তার স্বজনরা এসে নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু স্থানীয় লোকজনের ধারণা হয়েছিল, তাকে হত্যা করে লাশ গুম করা হয়েছে। যে কারণে লোকজন জড়ো হয়ে হামলা চালায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে গুলিও ছুড়তে হয়। পাশাপাশি টিয়ারসেল এবং লাঠিপেটা করতে হয়। সর্বশেষ স্থানীয় জনগণকে বোঝাতে ওই গৃহপরিচারিকাকে এনে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়। এরপর রাতেই মেয়েটিকে বনানীতে তার এক আত্মীয়ের বাসায় পৌঁছে দেয়া হয়। হামলার অভিযোগে কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে পীর হাবিব জানান, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কারণে ওই গৃহকর্মী হোম আইসোলেশনে ছিলেন। ফলে বাসায় কেউ ছিল না। পুলিশের উপস্থিতিতে গৃহপরিচারিকাকে চিৎকারের কারণ এবং তাকে নির্যাতন করা হয়েছে কি না, জানতে চাওয়া হয়। সে চলে যাবে বলে এ ধরনের আচরণ করেছে বলে জানায়। তাকে কোনো নির্যাতন করা হয়নি বলেও সে পুলিশকে জানায়।

পীর হাবিব গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ওই গৃহকর্মী যার মাধ্যমে এসেছিল, তাকে ডেকে এনে তার কাছে তাকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। এসময় পুলিশও উপস্থিত ছিল।

স্থানীয়রা জানায়, ২০ বছর বয়সের ওই গৃহকর্মী দুপুরের পর জানালা দিয়ে ‘বাঁচাও-বাঁচাও’ চিৎকার করলে আশপাশের মানুষ ছুটে আসে। ওই গৃহকর্মী একটি ফুলের টবও মাটিতে ফেলেছিলেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং পীর হাবিবের স্ত্রীকে ডেকে আনে।