বিশ্ববরেণ্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের ২৬তম মৃত্যু বার্ষিকী আজ। দিনটি উপলক্ষ্যে নড়াইলে এস এম সুলতান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে নেয়া হয়েছে বিভিন্ন কর্মসূচি। ১৯২৪ সালে নড়াইলের মাছিমদিয়া গ্রামে দরিদ্র পরিবারে জন্ম শেখ মোহাম্মদ সুলতানের। ডাক নাম লাল মিয়া। ডিবিসি।

সুলতানের আঁকা ছবিতে ফুটে উঠে আবহমান গ্রাম বাংলার ইতিহাস, দ্রোহ, সংগ্রাম, বিভিন্ন প্রতিকূলকতার প্রতিচ্ছবি। তিনিই প্রথম এশিয়ান যার আঁকা ছবি পাবলো পিকাসো, সালভাদর ডালির মতো বিখ্যাত সব শিল্পীর চিত্রকর্মের সঙ্গে প্রদর্শিত হয়।

দেশে-বিদেশে অনেক পুরষ্কার পেয়েছেন সুলতান। ১৯৮২ সালে ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োগ্রাফিক্যাল সেন্টার সুলতানকে ম্যান অব অ্যাচিভমেন্ট সম্মাননা প্রদান করে। গুণী এ শিল্পী পেয়েছেন একুশে পদক ও স্বাধীনতা পদক। ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী তাকে ‘আর্টিস্ট ইন রেসিডেন্স’ ঘোষণা করে। ১৯৯৪ সালের জানুয়ারি মাসে ঢাকার ‘গ্যালারি টনে’ ছিল সুলতানের শেষ চিত্র প্রদর্শনী। ১৯৯৪ সালের ১০ই অক্টোবর যশোরে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মারা যান শিল্পী।

তার মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষ্যে নড়াইলের এস এম সুলতান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শিল্পীর সমাধীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন, দোয়া মাহফিলসহ নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। নড়াইলের এক সাহিত্যিক জানান, ‘এস এম সুলতান কে আমরা স্বাধীনতা পদক ও একুশে পদক দিয়েছি, কিন্তু আমরা তার কীর্তিকে যোগ্য সম্মান দিতে পারিনি। যে পেইন্টিংগুলো আছে তা সংরক্ষণে আরো গুরুত্ব দেয়া উচিত।’

নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজামউদ্দিন খান নিলু বলেন, ‘এস এম সুলতানের যে চিন্তা-চেতনা ও চিত্রকর্ম সেগুলো যদি আমরা ধারণ করতাম তাহলে আমরা অনেক কিছু পেতাম। বাংলাদেশের লোকেরা তা দেখতে পারতো, বিশ্বের লোকরা দেখতে পারতো।;

শিল্পীর রেখে যাওয়া স্বপ্ন বাস্তবায়নে নানা উদ্যোগ নেয়ার কথা জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। নড়াইলের জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা বলেন, ‘এস এম সুলতানের যে রেখে যাওয়া স্মৃতি আরো বেশি সংগ্রহ করে ধরে রাখা এবং এর পাশাপাশি আমরা উদ্যোগ নিয়েছি এস এম সুলতানের স্মৃতি যে কমপ্লেক্স আছে তার পাশে একটি ঘাট করবো সুলতান ঘাট নামে।’