আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি… এই কবিতা গাফফার চৌধুরী লিখেছিলেন ১৯৫২ সালে। তিনি বাংলা ভাষার জন্য আন্দোলন যেমন দেখেছেন, তেমনি দেখেছেন ভাষার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও। লন্ডনে নিজের বাসভবনে সময় সংবাদকে এ কথা জানান তিনি। সময়টিভি।

বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের প্রথম শহীদ রফিক। সে সময়ে তারই মরদেহ দেখে ১৯-২০ বছরের টগবগে যুবক আব্দুল গাফফার চৌধুরীর কয়েকটি কবিতার লাইন লেখেন, যা পরবর্তীতে আলতাফ মাহমুদের সুরেই প্রভাতফেরির গান হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। অকপটে তিনি স্বীকার করেন আলতাফ মাহমুদের দেয়া সুরের কারণেই এ গান আজ সবার মুখে মুখে।

আব্দুল গাফফার চৌধুরী বলেন, এই গানটির যে জনপ্রিয়তা তার ষোলো আনাই অংশীদার আলতাফ মাহমুদের, যিনি সুর দিয়েছেন। সেই সুরটার জন্যই গানটা এত জনপ্রিয় এবং আজকে ১১টা ভাষায় অলংকৃত হয়েছে।

এখনো এ গানের জনিপ্রয়তার কমতি নেই, বিশ্বজুড়ে বাঙালিদের মনে এই গানের স্থান রয়েছে- এটাই সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি ও গর্বের বিষয় বলে মনে করেন তিনি।

আব্দুল গাফফার চৌধুরী বলেন, ৬৯ বছর হয়েছে এই গানটির বয়স, এখনো গানটি বেঁচে আছে।

৮৬ বছরের আব্দুল গাফফার চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছেন লন্ডনে। পেয়েছেন বাংলাদেশ সরকারের সর্বোচ্চ সম্মাননা স্বাধীনতা ও একুশে পদক।