আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানি তার আগের বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি করে বলেছেন, তার দেশ পরমাণু অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে না অথবা গোপনে কোনো পরমাণু কর্মসূচিও চালাচ্ছে না। তবে পরমাণু প্রযুক্তির শান্তিপূর্ণভাবে ব্যবহার করার অধিকার তেহরানের রয়েছে বলেও জানান তিনি। পার্সটুডে।

প্রেসিডেন্ট রুহানি বলেন, ইরান নিরস্ত্রীকরণ চুক্তিতে সইকারি একটি দেশ এবং আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তিসংস্থা বা এআইএ’র সঙ্গে এ সুরক্ষামূলক চুক্তি অত্যন্ত সচেতনভাবে বাস্তবায়ন করে আসছে।

তিনি আরো বলেন, এর আগেও আমরা বারবার বলেছি যে পরমাণু অস্ত্রসহ যেকোনো মরণঘাতি অস্ত্র তৈরির কোনো পরিকল্পনা দেশের প্রতিরক্ষা কর্মসূচিতে নেই এবং এটা ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সুষ্পষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি।

২০১৫ সালে ছয়জাতি গোষ্ঠীর সঙ্গে সই হওয়া পরমাণু সমঝোতা থেকে আমেরিকা বেরিয়ে যাওয়ার পর এবং এ চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী অন্যান্য সদস্যদেশ এ সমঝোতা বাস্তবায়নে কোনো সহযোগিতা না করায় তেহরান যখন এ সমঝোতা বাস্তবায়ন থেকে সরে আসার নতুন ঘোষণা দিয়েছে তখন প্রেসিডেন্ট রুহানি এসব বক্তব্য দিলেন।

ইরান আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি বা এনপিটি’র সম্পূরক প্রটোকল বাস্তবায়নের কাজ স্থগিত রাখবে বলে আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা বা আইএইএ’কে জানিয়ে দিয়েছে। সম্পূরক প্রটোকলের কারণে আইএইএ’র পরিদর্শকরা ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলোতে স্বল্প সময়ের নোটিশে পর্যবেক্ষণের সুযোগ পেতেন। ২০১৫ সালে পরমাণু সমঝোতা সই হওয়ার আগেও ইরান একবার এই প্রটোকল বাস্তবায়নের কাজ বন্ধ করে দিয়েছিল। কিন্তু ওই সমঝোতার ভিত্তিতে তা আবার চালু করে তেহরান যা পশ্চিমাদের চুক্তি ভঙ্গ সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত চলছে।

প্রেসিডেন্ট রুহানি বলেন, ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান পরমাণু অস্ত্রের অধিকারী হতে চাই না এবং এগুলোর কোনো মজুদও রাখতে চাই না। সর্বপরি ইরান কখনোই পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহার করবে না। তিনি বলেন, সবসময় আমাদের সাধারণ দৃষ্টিভঙ্গি এই যে আমরা কখনোই পরমাণু অস্ত্র চাই না তবে পরমাণু প্রযুক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহার করতে চাই যেটি আমাদের অধিকার।