আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইরানের সঙ্গে পাকিস্তানের বেশ উচ্চ পর্যায়ের বা গভীর সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে বলে পাক-পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশি উল্লেখ করেছেন। পার্সটুডে।

তিনি এ প্রসঙ্গে পাকিস্তানের সংসদে বলেছেন, গত তিন বছরেরও কম সময়ে ইমরানের নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডক্টর জাওয়াদ জারিফ চার বার পাকিস্তান সফর করেছেন!

জারিফ সর্বশেষ ইসলামাবাদ সফর করেন তিন মাস আগে। সে সময় তিনি পাকিস্তানের রাজনৈতিক ও সামরিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষাতে মিলিত হয়েছিলেন। দু-দেশই সব ক্ষেত্রে সম্পর্ক জোরদারের ওপর গুরুত্ব দিয়ে আসছে।

প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের ক্ষেত্রে পাকিস্তান ইরানকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে আসছে। ইরানের পররাষ্ট্রনীতি পারস্পরিক সম্মান, স্বচ্ছতা ও সদিচ্ছা-ভিত্তিক হওয়ায় বহু দেশই ইরানকে শান্তি, বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার অগ্রদূত বলে মনে করে। ভারত ও আফগানিস্তানের সঙ্গে পাকিস্তানের দীর্ঘকালের উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্কের কারণেও তেহরানের সঙ্গে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও নিরাপত্তাগত সম্পর্কের বিষয়টিকে পাক নেতৃবৃন্দ বেশ গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। অন্যদিকে ইরানও উইন-উইন বা দু-পক্ষেরই বিজয়ের নীতির ভিত্তিতে পাকিস্তানসহ সব প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সার্বিক সম্পর্ক জোরদারকে গুরুত্ব দিয়ে আসছে।

রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরদারের পাশাপাশি তেহরান ও ইসলামাবাদ জ্বালানী ও বাণিজ্য-সম্পর্ক জোরদারকে আগের চেয়েও বেশি গুরুত্ব দিতে চায়। ইরানের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকটি কার্যকর এবং আস্থা-উদ্দীপক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। যেমন, ইরান পাকিস্তানের কাছে গ্যাস পৌঁছে দেয়ার জন্য পাক-সীমান্ত পর্যন্ত পাইপ-লাইন তৈরি করে রেখেছে!

পাকিস্তানের সঙ্গে ইরানের দীর্ঘ-সীমান্ত থাকায় এ সীমান্তে বেশ কিছু বাজার গড়ে তোলাকে পাক সরকার ব্যাপক গুরুত্ব দিচ্ছে। পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন দল তেহরিকে ইনসাফ দলের নেতা ও দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান দ্বিপাক্ষিক স্থল- বাণিজ্যের এই প্রক্রিয়াকে জোরদার করতে সীমান্তে খুব দ্রুত বেশ কিছু বাজার গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন।

উল্লেখ্য বেলুচিস্তানের সঙ্গে ইরানের রয়েছে দীর্ঘ সীমান্ত। আর এই বাজারগুলো হতে পারে দু-দেশের জন্যই উন্মুক্ত স্থল-বন্দর।