নগরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে চলমান সংঘর্ষ বন্ধের লক্ষ্যে শান্তি আলোচনার স্বাগতিক দেশ হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে রাশিয়া। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ তার আজারি সমকক্ষ জেইখুন বাইরামোভ এবং আর্মেনীয় সমকক্ষ জোহরাব মুনাতসাকানিয়ানের সঙ্গে আলাদা আলাদা টেলিফোনালাপে এ প্রস্তাব দিয়েছেন বলে ল্যাভরভের দপ্তর জানিয়েছে। পার্সটুডে।

এসব আলাপে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুদ্ধকে উসকে দেয় এমন বক্তব্য ও স্লোগান পরিহার করার জন্য দুই দেশের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান। ল্যাভরভ বলেন, তার দেশ রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক পন্থায় কারাবাখ নিয়ে সৃষ্ট সংকটের সমাধান করার চেষ্টা করবে। তিনি দু’দেশের নেতাদেরকে মস্কোয় গিয়ে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দেন।

গত রোববার সকাল থেকে এ পর্যন্ত আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে সীমান্ত সংঘর্ষে শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন।

এদিকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন কারাবাখ সংকট নিয়ে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। দুই নেতা অবিলম্বে কারাবাখ অঞ্চলে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক উদ্যোগ কামনা করেছেন।

আর্মেনিয়ার সঙ্গে রাশিয়ার একটি সামরিক চুক্তি রয়েছে এবং দেশটিতে রুশ সেনা মোতায়েন রয়েছে; যদিও আজারবাইজানের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছে রাশিয়া।

আনুষ্ঠানিকভাবে নগরনো-কারাবাখ অঞ্চল আজারবাইজানের ভূখণ্ডের অন্তর্গত হলেও সেখানকার বেশিরভাগ মানুষ জাতিগত আর্মেনীয় হওয়ার কারণে স্থানীয়ভাবে একটি আর্মেনীয় সরকারের শাসনাধীনে রয়েছে। আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান ১৯৮৮ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত এই অঞ্চল নিয়ে যুদ্ধ করেছে।

আর্মেনিয়া সরকার নগরনো-কারাবাখ অঞ্চলের স্বায়ত্বশাসনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। কিন্তু বাস্তবে স্থানীয় যে আর্মেনীয় সরকার অঞ্চলটি পরিচালনা করছে তাকে স্বায়ত্বশাসন দেয়নি ইয়েরেভান। ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানসহ বিশ্বের বহু দেশ শান্তিপূর্ণ উপায়ে কারাবাখ সংকট সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে। ল্যাভরভের আগে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ দু’দেশের বিবাদ মীমাংসায় মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দিয়ে রেখেছেন।