আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রাশিয়ায় শুরু হয়েছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। শেষ হবে রোববার (১৭ মার্চ)। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন নির্বাচনের ফলাফল আগে থেকেই নির্ধারিত। বর্তমান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনই জিতবেন এবং পঞ্চমবারের মতো দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।

পুতিন ২০০০ সাল থেকেই রাশিয়ার ক্ষমতায়। প্রথমে তার পূর্বসূরি বরিস ইয়েলতসিনের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন। আর ২০০০ সালের মার্চে তিনি প্রথমবার নির্বাচনে জয়লাভ করেন। ২০০৮ থেকে ২০১২, এই সময়টায় তিনি তার ভূমিকা বদলে নিয়েছিলেন। সে সময় তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় ছিলেন। ২০২০ সালে সংবিধান পরিবর্তন করেন। এবার নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পুতিন ২০৩৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবেন।

ভোট শুরুর আগে দেশবাসীর উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে পুতিন বলেন, আমি নিশ্চিত, আপনারা বুঝতে পারছেন যে আমাদের দেশ কী কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, আমরা প্রায় সব ক্ষেত্রেই কী জটিল চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছি। মর্যাদার সঙ্গে প্রতিক্রিয়া অব্যাহত রাখতে, সফলভাবে সমস্যা কাটিয়ে উঠতে, রুশদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আত্মবিশ্বাসী হতে হবে।

রাশিয়ায় এই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে একটি প্রহসন হিসেবে অভিহিত করেছে ইউক্রেন। ভোট শুরুর আগে রাশিয়ার সীমান্ত অঞ্চলে বড় ধরনের হামলাও চালিয়েছে দেশটি। যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত বলেছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তার দূতাবাস বেশ কয়েকটি হুমকি পেয়েছে। রাষ্ট্রদূত আনাতোলি আন্তোনভ বলেন, আমাদের দূতাবাস ও কনস্যুলেটের আশপাশে রাশিয়াবিরোধী কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

রাশিয়ার এবারের নির্বাচনে কার্যত কোনো বিরোধী দল নেই। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন পুতিনই আবার নির্বাচিত হবেন। এমনকি তিনি গত বারের চেয়ে ভোটও বেশি পাবেন। রুশ গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, এবার কমপক্ষে ৭০ শতাংশ ভোটার উপস্থিতি আশা করা হচ্ছে। যার মধ্যে ৮০ শতাংশ ভোট পাবেন পুতিন। গত ২০১৮ সালের নির্বাচনে তিনি পেয়েছিলেন ৭৬.৭ শতাংশ।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা রাশিয়ার নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছেন। অবশ্য রাশিয়ার বিরোধী দলীয় নেতা অ্যালেক্সি নাভালনি কারাগারে মারা যাওয়ার পর রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নির্বাচন সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে জয় লাভ করবেন পুতিন।