আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আগামী নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক ও রিপাবলিকান পার্টির পক্ষ থেকে মনোনয়ন পাওয়া নিশ্চিত করেছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর আগে উভয় দলের অভ্যন্তরীণ নির্বাচনের ফলে মনোনয়ন পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় দলীয় সমর্থন আদায় করেছেন ট্রাম্প-বাইডেন।

৬৮ বছর আগে, ১৯৫৬ সালে ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী অ্যাডলাই স্টিভেনসনকে হারিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হন রিপাবলিকান নেতা ডুইট ডি আইজেনহাওয়ার। সেটা ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতির ইতিহাসে প্রথম রিম্যাচ নির্বাচন। অর্থাৎ তার আগের বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও মুখোমুখি হয়েছিলেন স্টিভেনসন এবং আইজেনহাওয়ার। সেটা ছিল ১৯৫২ সালের নির্বাচন।

এদিকে প্রচারণা থেকে জো বাইডেন ইতোমধ্যে বলেছেন, আমি বিশ্বাস করি, ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যেতে আমাদেরকে বেছে নেবে যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ।

ক্ষমতাসীন হিসেবে স্বাভাবিকভাবে সুবিধা পাচ্ছেন বাইডেন। তার দল ডেমোক্রেট থেকে মনোনয়নের ক্ষেত্রে বড় রকমের কোনো গুরুতর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হচ্ছে না তাকে। তার বয়স নিয়ে উদ্বেগ আছে, তিনি বয়সের ভারে ন্যুজ, ফলে দায়িত্ব পালনে সক্ষম হবেন কি না, তা নিয়ে আছে উদ্বেগ। তা সত্ত্বেও দল তার প্রতিই আনুগত্য দেখাচ্ছে।

অন্যদিকে ৭৭ বছর বয়সি ট্রাম্প রিপাবলিকান ভোটারদের মধ্যে এখনও ভীষণ জনপ্রিয়। এ কারণে তিনি একের পর এক রাজ্যে প্রাইমারিতে বিজয়ী হচ্ছেন। প্রথম মেয়াদে ক্ষমতায় এসে তিনি সীমান্ত সিল করে দেওয়ার তৎপরতা চালান। অবৈধ অভিবাসীদের বের করে দিয়ে রেকর্ড গড়তে চেয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি ক্রাইমের বিরুদ্ধে যুদ্ধ, আভ্যন্তরীণ জ্বালানি বা বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি, বৈদেশিক আমদানির ওপর আয়কর, ইউক্রেন যুদ্ধের ইতি এবং বৈশ্বিক সম্পর্কের বিষয়ে ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতি চালুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

দুই দলের এই দুই হেভিওয়েট প্রার্থীই সামনের লড়াইয়ে টিকে থাকছেন। বিশ্ব তাকিয়ে আছে গণতন্ত্র চর্চার একটি মহাযজ্ঞ দেখার অপেক্ষায়।