আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার শেষ নিরাপদস্থল রাফাহতে হামলার অনুমোদন দিয়েছেন দখলদার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। শুক্রবার (১৫ মার্চ) যুদ্ধকালীন মন্ত্রীসভার বৈঠকের পর নেতানিয়াহুর দপ্তর থেকে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, সেনাবাহিনীকে রাফাহতে হামলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সেনাবাহিনী হামলা চালানো এবং সেখান থেকে বেসামরিকদের সরিয়ে নিতে প্রস্তুত আছে।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী রাফাহতে হামলার অনুমতি দেওয়ার পর এর বিরোধীতা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন জানিয়েছেন, তারা রাফাহতে হামলা চালানোর কোনো সুস্পষ্ট এবং কার্যকর পরিকল্পনা দেখেননি। ইসরায়েল যদি রাফাহতে কোনো ধরনের সামরিক অভিযান চালাতে চায় তাহলে একটি সুস্পষ্ট পরিকল্পনা দেখাতে হবে।

শুক্রবার অষ্ট্রিয়া সফরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এ কথা জানান ব্লিঙ্কেন।

ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও দখলদার ইসরায়েলের মধ্যে গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে যুদ্ধ শুরু হয়। ওই সময় এক জায়গা থেকে আরেক জায়গা করে ১৩ লাখ মানুষ রাফাহতে এসে আশ্রয় নেন। এখন এই রাফাহতে হামলার পরিকল্পনা করছে ইসরায়েলিরা।

তবে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশ বলেছে, রাফাহতে হামলা চালালে সেখানে বিপর্যয়কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। এ কারণে তারা বলছে, সেখানে যদি কোনো হামলা চালানো হয় তাহলে যত বেসামরিক মানুষ আছেন তাদের সরে যাওয়ার সুযোগ দিতে হবে।

এরআগে শুক্রবার সকালে হামাস নতুন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেয়। এই প্রস্তাব নিয়েই বৈঠকে বসেন নেতানিয়াহু। কিন্তু প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান করে রাফাহতে হামলার অনুমতি দেন তিনি।