আজ মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ২২দিন ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায় চাঁদপুরসহ সারাদেশের নদ-নদীতে ইলিশসহ সকল ধরনের মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সরকার।

নিষেধাজ্ঞার সময় ইলিশ আহরণ, পরিবহন, বাজারজাতকরণ, মজুত ও ক্রয়-বিক্রয় সম্পন্ন নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। এদিকে চাঁদপুরে ৫১ হাজার ১শ’ ৯০জন জেলে তারা আজ থেকে বেকার হয়ে পড়েছে।

চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে লক্ষ্মীপুর জেলার চর আলেকজেন্ডার পর্যন্ত ১শ’ কিলোমিটার নদী উপকূলীয় এলাকায় নিষেধাজ্ঞার সময়ে কোন জেলে নদীতে নামতে পারবে না। প্রতিবছর আশ্বিনের ভরা পূর্ণিমার আগে-পরে ইলিশের ডিম ছাড়ার আসল সময়। এ সময় সাগর থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ নদীতে ছুটে আসে। এই সময়কে বিবেচনায় নিয়ে প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও মোট ২২ দিন ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। আইন অমান্যকারীকে মৎস্য আইনে সাজা প্রদান করা হবে।

এদিকে জেলেরা তাদের জাল নৌকা ডাঙ্গায় তুলে রাখতে শুরু করেছে। তবে কষ্ট হলেও সরকারি নিষেধাজ্ঞা মেনে চলবে বলে জানিয়েছে জেলেরা। যদিও জেলেদের দাবি তারা কখনো সরকারি অভিযানের সময় নদীতে নামেন না। এ সময়ে সরকারের পক্ষ থেকে চাল সহায়তা পায় জেলেরা। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল হওয়ায় জেলেদের দাবি এ সহযোগিতা যেন বাড়ানো হয়।

বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট নদীকেন্দ্র, চাঁদপুরের ইলিশ গবেষক ও বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আনিছুর রহমান জানান, আমদের দেশের জেলেদেরকে যে ২২দিন নিষেধাজ্ঞার সময়ে ধেয় হয় এবং তারা সরকারের সেই আইন মেনে নদীতে মাছ ধরা থেকে বিরত থাকে কিন্তু পক্ষান্তরে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে জেলেরা এসে কোনো নিয়ম নিতি না মেনে আইন অমান্য করে এই নিষেধাজ্ঞার সময়ে আমাদের দেশের জলসীমায় এসে মাছ ধরে নিয়ে যায়।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুল বাকী জানান, চাঁদপুরে ৫১ হাজার ১শ’ ৯০জন জেলে আছে। এসব জেলেদের জন্য সরকার ২০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দিয়েছে। এ পর্যন্ত চাঁদপুরে ৫০ হাজার জেলের জন্য ২০ কেজি করে চাল বরাদ্দ এসেছে। বাকীদের জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন। তিনি আরও বলেন, এই নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করলে ১ থেকে ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে।