ভলটাভা নদী এবং ভলটাভার ওপর দেড়শ’বছরের পুরনো সেতু। নাম হলো চার্লস ব্রিজ। সেই ব্রিজের ওপরই বসেছিল ‘করোনাভাইরাস ফেয়ারওয়েল পার্টি’!
চেক প্রজাতন্ত্রের বৃহত্তম শহর প্রাগে লকডাউনে ছিল অনেকদিন। সরকার প্রাগসহ দেশের কোনও জায়গাকেই করোনা মুক্ত বলে ঘোষণা না করলেও হুল্লোড়বাজ নাগরিকরা পার্টিতে মেতেছিলেন।
বুধবার শহরের হাজার-হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে গেয়েছেন, নেচেছেন এবং মদও খেয়েছেন।
প্রাগের মানুষজন বাইরে বেরিয়ে এতটাই আনন্দিত যে, তারা প্রাগের বিখ্যাত ব্রিজের ওপর করোনাভাইরাসের ‘ফেয়ারওয়েল পার্টি’র আয়োজন করেন। সেই পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন প্রায় হাজার খানেক মানুষ। রীতিমতো একে-অন্যের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়েই পার্টি করেন তারা। সামাজিক দূরত্ব কী, তা যেন বেমালুম ভুলে গিয়েছিলেন প্রাগের বাসিন্দারা।
পার্টিতে যোগ দেয়া এক ক্যাফের মালিক কোবজা বলেন, ‘আমরা করোনাভাইরাসের মৃত্যু সেলিব্রেট করতে এসেছি। আমরা বোঝাতে এসেছি, মানুষকে এভাবে আলাদা করা যায় না। আমরা বোঝাতে এসেছি, ভাইরাসের কারণে আমরা একজন আরেকজনের থেকে এক টুকরো স্যান্ডহুইচ নেব না, এটা হতে পারে না।’
নাগরিকদের মুখে করোনাভাইরাসের মৃত্যু বলা হলেও শহরটিতে এখনও কারও মৃত্যু হয়নি। যদিও পুরো এই শহরে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২,৩৬৩ জন। এতে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৫০৮ জন।