এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ বলেছেন, ‘রপ্তানি শিল্পের শীর্ষ খাত গামেন্টশিল্পের সংকট মোকাবিলায় নগদ অনুদান প্রদান করা উচিত। আমাদের প্রধান ক্রেতা দেশ ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র। সংশ্লিষ্ট দেশগুলো ক্রয়াদেশ কমিয়ে দিয়েছে। সেখানকার প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেরাই কর্মী ছাঁটাই করেছে। আগের অবস্থায় তাদের ফিরতে অনেক দেরি হবে। সেই সময় পর্যন্ত আমাদের গার্মেন্ট খাত চালিয়ে রাখা সবার পক্ষে সম্ভব হবে না। তাই শ্রমিক ছাঁটাই না করার জন্য অনুদান দেওয়া উচিত।’
বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এ কে আজাদ বলেন, গার্মেন্ট খাতে অর্ডার ৫০ শতাংশে নেমেছে। অনেক প্রতিষ্ঠানের অর্ডার ২০ থেকে ৩০ শতাংশে নেমেছে। প্রতিটি গার্মেন্ট প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের বেতন তাহলে কীভাবে আসবে। পণ্য বিক্রি যদি করতে না পারে, বা উৎপাদন যদি করতে না পারে, বেতন দেওয়া খুবই কঠিন। ফলে বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না। তিনি বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে একটি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। ব্যাংকের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হচ্ছে এই প্রণোদনা। কিন্তু যেসব প্রতিষ্ঠানের অর্ডার বাতিল হয়ে গেছে বা অর্ডার খুবই কম, তারা কোনো প্রণোদনা সুবিধা পাচ্ছে না। কারণ ব্যাংকগুলো মনে করছে অর্থ ফেরত দিতে পারবে না সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান। এ জন্য অনেককে প্রণোদনার কোনো অর্থ দিচ্ছে না। যেসব প্রতিষ্ঠান এই সংকটে টিকে থাকতে পারবে না, তাদের শ্রমিক ছাঁটাই ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। যে কারখানার বেতন প্রদান করতে হয় ৫ কোটি টাকার কিন্তু অর্ডার আগের তুলনায় ৫০ শতাংশ কম, তারা কীভাবে দেবে। তাই এখন শ্রমিক, উদ্যোক্তাদের রক্ষা করা আমাদের প্রধান কাজ।’
সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন