গাজীপুরে মা ও ভাইয়ের মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে গলা কেটে আত্মহত্যা করেছেন পুলিশের এক কনস্টেবল। বুধবার রাতে তার বাসা থেকে লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের নাম মো. রবিউল আউয়াল (২২)। তিনি গাজীপুর সিটি করপোরেশনের পশ্চিম বিলাশপুর এলাকার মুক্তিযোদ্ধা আবদুল জলিল খন্দকারের ছেলে। তিনি কিশোরগঞ্জ পুলিশ লাইনে কনস্টেবল (নং-১৪৭৭) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) সদর থানার ওসি মুহাম্মদ আলমগীর ভূঁইয়া জানান, প্রায় ৭-৮ মাস আগে বিয়ের আগের দিন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে আউয়ালের বড় ভাই মারা যান। এর কয়েকদিন পর পুত্রশোকে আউয়ালের মাও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। মা ও ভাইয়ের মৃত্যুতে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে আউয়াল। গত জানুয়ারিতে চিকিৎসার জন্য ছুটি নিয়ে গাজীপুরের বাড়িতে আসেন তিনি। কয়েকদিন চিকিৎসা শেষে তিনি কর্মস্থলে যোগ দেন। কিন্তু আবারও অসুস্থ হয়ে পড়লে মার্চ মাসে পুনরায় ছুটি নিয়ে বাড়ি আসেন আউয়াল। বাড়ি ফিরে আসার পর বুধবার রাত ৮টার দিকে বাড়ির লোকজনের অগোচরে আউয়াল তাদের রান্নাঘরে ঢুকে ভিতর থেকে দরজার ছিটকিনি আটকে দেয়। সদর থানার এসআই মো. জহিরুল ইসলাম জানান, দীর্ঘ সময়েও তার সাড়া-শব্দ না পেয়ে বাড়ির লোকজন পুলিশকে সংবাদ দেয়। খবর পেয়ে সদর থানার পুলিশ ওই ঘর থেকে আউয়ালের গলা কাটা রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে রক্তমাখা একটি বঁটি উদ্ধার করা হয়। ওসি মুহাম্মদ আলমগীর ভূঁইয়া জানান, ধারণা করা হচ্ছে মা ও ভাইয়ের মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে বঁটি দিয়ে গলা কেটে আত্মহত্যা করেছেন পুলিশ কনস্টেবল আউয়াল। এ ব্যাপারে নিহতের বাবা সদর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করেছেন।সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন
মা-ভাইয়ের মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে আত্মহত্যা!
MD. Nayem২০২০-০৬-১৯T১৩:১৮:৪৫+০৬:০০
আপনার মতামত লিখুন :