করোনাভাইরাস পরীক্ষায় অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত ডা. সাবরিনা আরিফের তিন দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ সোমবার (১৩ জুলাই) দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিনুর রহমানের আদালতে নিয়ে ৪ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত রোববার (১২ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে ডা. সাবরিনাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে নেয় তেজগাঁও পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের তেজগাঁও জোনের উপকমিশনার (ডিসি) হারুনুর রশিদ আরটিভি নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে তেজগাঁও থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এসময় ভুয়া স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ দিতেন বলে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকার করেছেন।
জিজ্ঞাসাবাদের পর তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘জেকেজি গ্রুপের হিমু ও তার স্ত্রী তানজিনাকে গ্রেপ্তার করার পর তারা জানায়, বাড়িতে গিয়ে তারা স্যাম্পল কালেকশন করেন। তানজিনা নার্স হওয়ায় সে দিনের বেলায় স্যাম্পল কালেকশন করতো। কিন্তু সেই স্যাম্পল আর পরীক্ষাগারে পাঠানো হতো না। আর হিমু একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হওয়ায় সে সার্টিফিকেট বানিয়ে ওইসব স্যাম্পলের ভুয়া রিপোর্ট সরবরাহ করতো। এর জন্য তারা পাঁচ হাজার টাকা ফি নিত এবং বিদেশি হলে একশ ডলার। হিমু ও তানজিনাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে এগুলোর সঙ্গে জেকেজি গ্রুপ জড়িত বলে তারা তথ্য দেয়। তারপর জেকেজির সিইও আরিফুল হকসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকেই জেকেজির চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়।’
এক প্রশ্নের জবাবে ডিসি বলেন, ‘অনেক বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আরও অনেক বিষয়ে জানার বাকি আছে। আদালতের কাছে চার দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হবে। রিমান্ডে পেলে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’
উল্লেখ্য, জেকেজি হেলথ কেয়ার থেকে ২৭ হাজার রোগীকে করোনা টেস্টের রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১১ হাজার ৫৪০ জনের করোনার নমুনা আইইডিসিআরের মাধ্যমে সঠিক পরীক্ষা করানো হয়েছিল। বাকি ১৫ হাজার ৪৬০ জনের ভুয়া রিপোর্ট তৈরি করা হয়, যা জব্দ করা ল্যাপটপে পাওয়া গেছে।