ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ওয়ারিতে আরো কঠোরভাবে লকডাউন বাস্তবায়নে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নগর ভবনে ওয়ারি লকডাউন নিয়ে কেন্দ্রীয় বাস্তবায়ন কমিটির দ্বিতীয় পর্যালোচনা সভায় এ নির্দেশনা দেন তিনি।
ডিএসসিসি মেয়র বলেন, করোনা মহামারির সময়ে ব্যবসা মুখ্য উদ্দেশ্য হতে পারে না, জনগণকে ন্যূনতম সেবা নিশ্চিত করাই মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত। লকডাউন এলাকায় অবস্থিত প্যাসিফিক ফার্মাসিউক্যালসসহ অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি কার্যালয় ও তিনটি সুপারশপের মধ্যে যৌক্তিকতা বিবেচনায় যেকোনো ১টি সুপারশপ খোলা রেখে বাকি দু’টো বন্ধ করারও নির্দেশ দেন।
এছাড়াও ই-কমার্স প্লাটফর্মের মাধ্যমে খাদ্য সরবরাহকারী ব্যক্তিদের সুনির্দিষ্ট নামের তালিকা প্রদান করতে বলেন এবং অন্যান্য সব ব্যক্তির যাতায়াত বন্ধ করারও নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে স্বতঃস্ফূর্তভাবে স্যাম্পল দিতে আরো বেশি সচেতন হওয়ার জন্য জনগণকে আহ্বান জানান তিনি।
ফজলে নূর তাপস বলেন, জনগণকে আরো বেশি পরিমাণে স্যাম্পল দিতে সচেতন করুন, উদ্বুদ্ধ করুন। কারণ, প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত বলছে, লকডাউন শুরুর সময়কার সংক্রমণের হার ও বর্তমান সংক্রমণের হার প্রায় একই, যা কোনভাবেই কাম্য হতে পারে না।
যেসব বাসা-বাড়িতে এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত রোগী রয়েছে, সেসব বাড়ির বাসিন্দারা যাতে বাড়ির বাইরে যেতে না পারেন, সেটাও নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দেন তিনি।
এ সময় ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সারোয়ার হোসেন আলো ও আইইডিসিআর এর প্রতিনিধি সভায় জানান, এলাকার জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে আজ থেকে ২৮টি টিম বাড়ি-বাড়ি গিয়ে জনগণকে স্যাম্পল প্রদানের আহ্বান জানাবে। স্যাম্পল প্রদানে সরকার নির্ধারিত ফি ২০০ টাকাও জনগণকে দিতে হবে না। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এলাকার লোকজন স্যাম্পল নিরীক্ষা করা হচ্ছে।
সভায় জানানো হয়, লকডাউন শুরুর সময়ের সংক্রমণের হার ছিল ৪০ শতাংশ বর্তমানেও তা প্রায় ৪০ শতাংশ। এছাড়াও স্থানীয় কাউন্সিলরের মাধ্যমে প্রতিদিন ৬০০ লোককে তিন বেলা খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে এবং প্রতিদিন সকাল বেলা প্রায় ৩০০ পরিবারের মাঝে বিনামূল্যে সবজি সরবরাহ করা হচ্ছে বলে জানানো হয়।